অবশেষে কাপ্তাইয়ের রাইখালী ইউনিয়নাধীন কোদালাবাসীর দুঃখের অবসান হচ্ছে। কোদালা খাল ভরাট হওয়ায় বছরের পর বছর ধরে শুকনো মৌসুমে খালে পানি না থাকায় চাষাবাদ করতে অসুবিধা হয়ে আসছে। আবার পানি ধারন ক্ষমতা কমে যাওয়ায় বর্ষায় পাহাড়ী ঢলের কারনে প্লাবিত হয়ে আশপাশের এলাকা ডুবে যায়। এভাবে প্রায় তিন দশক আগে কোদালা খাল খনন করার পর আর কখনো এ খালটি পুনঃ খনন করা হয়নি।
কোদালা এলাকায় প্রায় শতাধিক একর চাষাবাদের ধানি জমি রয়েছে। কিন্তু খাল ভারাট হওয়ায় শুল্ক মৌসুমে এখানে কোন চাষাবাদ করা সম্ভব হয় না। এলাকাবাসী এ খালটি পুনঃ খননের জন্য বিবিন্ন স্থানে ধর্না দিয়ে আসছে। অবশেষে সরকারি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সারা দেশের ৬৪ জেলার ন্যায় রাঙামাটি জেলাধীন কাপ্তাইয়ের রাইখালী ইউনিয়নের কোদালা খাল পুনঃ খননের কাজের উদ্ভোধন করা হয় বুধবার।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, রাইখালী ইউপির সাবেক সদস্য মোঃ আবুল হাশেম। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী (ড্রেজার পরিদপ্তর) ঢাকা এর প্রধান প্রকৌশলী শামসুদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা, ওয়াশা ঢাকার পরিচালক মোঃ ইকরাম উল্ল্যাহ, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড রাঙ্গামাটির নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার বড়ুয়া, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড রাঙ্গামাটি উপ-পরিচালক পবন কুমার চাকমা। এতে বক্তব্যে রাখেন, স্থানীয় অধিবাসী আবু বক্কর, খন্তাকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সৈয়দুল হক, হাফেজ রুস্তম আলী, কাপ্তাই উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্জয় দ্রেবনাথ, বিডব্লিউডিবি চট্টগ্রাম এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী তয়ন কুমার ত্রিপুরা প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, খাল ভরাট হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে শুকনো মৌসুমে চাষাবাদ করতে না পারায় তারা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। খালটি পুনঃ খনন করা হলে শুল্ক মৌসুমে চাষাবাদ করা সম্ভব হবে। এতে এলাকাবাসী বেজায় খুশি। উল্লেখ্য, পুনঃ খনন কাজে কোদালা খালটি নয় ফিট গভীর ও পাশে বিশ ফুট চওড়া করা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.