পার্বত্য নাগরিক পরিষদের ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২১ বছরে জাতির প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক শনিবার রাজধানেিত এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভূঁইয়ার পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স রুমে আলোচনা সভায় প্রধান পার্বত্য ভূমি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি খাদেমুল ইসলাম চৌধুরী। পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সোলায়মান আলম শেঠ, পার্বত্য নিউজের সম্পাদক মেহেদী হাসান পলাশ, পার্বত্য নাগরিক পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মো. শেখ আহাম্মদ রাজু, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবদুল হামিদ রানা প্রমুখ। আরও উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য নাগরিক পরিষদের প্রচার সম্পাদক প্রভাষক আরিফ বিল্ল¬াহ, পার্বত্য নাগরিক পরিষদের তথ্য সম্পাদক মো:ইলিয়াছ হোসাইন, পার্বত্য নাগরিক পরিষদের বান্দর বান জেলা সভাপতি মোঃ আতিকুর রহমান, পিবিসিপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাউছার উল্লাহ প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি খাদেমুল ইসলাম বলেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তি সংবিধান পরিপন্থী। তবে এটি আপিল বিভাগে পেন্ডিং আছে। পেন্ডিং থাকা অবস্থায় কাজ চলছে। কিন্তু সাংবিধানিক ভাবে চুক্তির অস্তিত্ত^ নেই। সংবিধান পরিপন্থী যেটা সেটা তো আমরা মানব না। আপিল বিভাগে যেহেতু পেন্ডিং আছে, সেহেতু এটা তারাই বিচর করবে। কিন্তু যে চুক্তিটা সংবিধান পরিপন্থী তা বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিকের ওপর বহাল না। আমরা এটা মানতে রাজি না।
পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভূঁইয়ার সভাপতির বক্তব্যে বলেন, ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সরকার চুক্তি করে। কিন্তু এই চুক্তিতে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়নি। কারণ, পাহাড়ে বসবাসরত বৃহত্তর জনগোষ্ঠী বাঙালি এবং ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বার স্বার্থ সংরক্ষণ করা হয়নি। পাহাড়ে সশস্ত্র গেরিলা সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে একপেশে এই পার্বত্য চুক্তি শান্তির বদলে একাদিক সন্ত্রাসী সংগঠনের জন্ম দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আলোচনা সভায় কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে ৮ দফা ঘোষনাপত্র পাঠ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে ১৯৯৭ সালে ২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত তথাকথিত পার্বত্য শান্তি চুক্তির পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী উপজাতী ও বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীর মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টিকারী ও সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক ধারা সমূহ বাতিল করে বাসÍবতার ভিত্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল জনগনের মাঝে শাসনতান্ত্রিকভাবে গ্রহনযোগ্য সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা করা, ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন-২০০১ অসাংবিধানিক হওয়ায় সেটিকে অবৈধ ঘোষণা পূর্বক পরবর্তীতে প্রস্তাবিত সকল সংশোধনীসহ আইনটি বাতিল করতে হবে।
জেলা পরিষদ, পার্বত্য শরণার্থী পুনর্বাসন টাস্কফোর্স, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও অঞ্চলিক পরিষদ ভেঙ্গে দিয়ে নির্বাচন দিতে হবে। চেয়ারম্যান পদ সকল সম্প্রদায়ের জন্য উন্মোক্তকরণপূর্বক সকল পর্যায়ে বাঙ্গালী প্রতিনিধির পদ সংখ্যা জনসংখ্যানুপাতে বৃদ্ধি করতে হবে ইত্যাদি।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.