রাঙামাটির লংগদু উপজেলার বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব করল্যাছড়ি আর্য গিরি বন বিহারে দুইদিন দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসব উদযাপিত হয়েছে।
দুইদিন ব্যাপী দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসবে প্রথম দিনে বেইন বুনে সুতায় রং করে তৈরী করা হয় চীবর। দ্বিতীয় দিনে বৌদ্ধ ভিক্ষু সংঘকে চীবর (ভিক্ষুদের পরিধেয় বস্ত্র) দান করা হয়।
বিহার প্রাঙ্গনে আয়োজিত প্রথম বারের মতো কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠানে ধর্ম দেশনা দেন জাগরন বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ সেন জ্যোতি স্থবির, তারাবন ভাবনা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ আদি কল্যাণ ভিক্ষু। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, লংগদু জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল এমএন শফিকুর রহমান, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক দীপেন দেওয়ান, সঙ্গতিশ বড়ুয়া, জনি ভট্টাচায্যসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
ধর্ম সভায় বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরুরা জাতি ধর্ম বর্ণ সকলের উদ্দেশ্যে বুদ্ধের শান্তির বাণী প্রচার করেন এবং সকল প্রকার লোভ, হিংসা, মোহ সংঘাতসহ যাবতীয় খারাপ কাজ পরিহার করে সৎ পথে চলতে ও মৈত্রীপূর্ন মনোভাব নিয়ে একে অপরে সুখে-শান্তিতে বসবাস করার হিতোপদেশ প্রদান করেন।
এর আগে কঠিন চীবর দান উপলক্ষে আর্য গিরি বন বিহারে ভোর থেকে কর্মসূচির সূচনা করা হয়। ভোরে প্রার্থনা ও সূত্র পাঠের মাধ্যমে উৎসবের কর্মসূচি শুরু হয়।
এ ছাড়া সন্ধ্যায় আকাশে ফানুস বাতি উড়িয়ে ও বিহারে মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে বৌদ্ধ কীর্তন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে শত শত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরুরা (ভিক্ষু-শ্রমন) তিন মাস বর্ষাবাস পালন শেষে এ প্রবারণা পূর্নিমা উদযাপন করা হয়ে থাকে। এর পর থেকে দীর্ঘ এক মাসব্যাপী বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে উদযাপিত হয় প্রধান ধর্মীয় উৎসব শুভ কঠিন চীবর দান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.