পাহাড়ের পাদদেশে ঝুকিপূর্ন অবস্থায় বসবাস করা লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং শুরু হয়েছে। ঘুর্নিঝড় তিতলীর প্রভাবে গেল দুই দিন ধরে রাঙামাটিতে অবিরাম বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় যাতে পাহাড় ধসে কোন প্রাণহানী না ঘটে তার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
শুক্রবার সকাল থেকে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের পক্ষ রাঙামাটি জেলা তথ্য অফিসের প্রচার বিভাগ রাঙামাটি শহরের তবলছড়ি, রিজার্ভ বাজার, আসামবস্তী, রাঙ্গাপানি, ভেদভেদী, শিমুলতলী, মানিকছড়ি সহ বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং অব্যাহত রয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, রাঙামাটি পাহাড়ী এলাকা হওয়ায় অবিরাম বৃষ্টির ফলে রাঙামাটিতে পাহাড় ধ্বসে সম্ভাবনা বেশী রয়েছে। তাই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থান করা লোকজনকে সরে যেতে এই মাইকিং করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১৩ জুন ভয়াবহ পাহাড় ধসে রাঙামাটি শহরের ভেদভেদীর যুব উন্নয়ন বোর্ড এলাকা,মুসলিম পাড়া.শিমুলতলী এলাকা,সাপছড়ি,মগবান,বালুখালী এলাকায় এবং জুরাছড়ি,কাপ্তাই,কাউখালী ও বিলাইছড়ি এলাকায় ৫ সেনা সদস্যসহ ১২০ জনের মৃত্যূ হয়। এতে জেলায় ১৬শ থেকে ১৭ শ ঘরবাড়ি সম্পূর্ন ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। চলতি বছরের ১১ জুন নানিয়াচর উপজেলায় পাহাড় ধসে ১১ জনের মৃত্যু হয়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.