জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৩৯তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাঙামাটির নানিয়রারচর উপজেলায় উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে মঙ্গলবার গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য মন্ত্রনালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন হয়নি বললে, আমাদের প্রতি অবিচার করা হয়। কারণ পার্বত্য চুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে ৪৮টি সম্পূর্ণ বাস্তবায়িত হয়েছে। ২০১৩ সালে চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির সভায় ৪৮টি সম্পূর্ণ বাস্তবায়নের হয়েছে বলে মতৈক্য পত্রে সন্তু লারমা স্বাক্ষর করেছেন। অবশিষ্ট ধারা সমূহ পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়িত হচ্ছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে দৈহিক ভাবে হত্যা করা হলেও, তাঁর আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি ঘাতকেরা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছি আমরা। মঙ্গলবার রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৩৯তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত সমাবেশে দীপংকর তালুকদার এসব মন্তব্য করেন। নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদ মাঠে আয়োজিত উক্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, নানিয়ারচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ত্রিদিব কান্তি দাশ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা সাংসদ ফিরোজা বেগম চিনু, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোয়ালিটি চাকমা, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, নানিয়ারচর উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আবদুল বারী শেখ, সাধারন সম্পাদক মোঃ আবদুর ওহাব, নানিয়ারচর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রিয়তোষ দত্ত, সাধারণ সম্পাদক ঝিল্লোল মজুমদার, নানিয়ারচর উপজেলা আওয়ামী ওলামালীগের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মিজানুর রহমান, উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রিপন তালুকদার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি জ্ঞান প্রিয় চাকমা, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুমন দাশ প্রমুখ। দীপংকর তালুকদার আরও বলেন, গত ২৬ মে পার্বত্য চুক্তি অনুযায়ী স্থানীয় মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগকে পার্বত্য জেলা পরিষদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। অপরদিকে, পার্বত্য চুক্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অতি সম্প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের পক্ষ থেকে (জনসংহতি নেতৃবৃন্দ) পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডকে বিলুপ্ত করার দাবী জানিয়েছেন। যা পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার শামিল। তিনি স্ববিরোধীতার রাজনীতি পরিহার করে ইতিবাচক ও জনকল্যাণমূলক রাজনীতিতে এগিয়ে আসার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানান
–হিলবিডি২৪/সম্পাদনা.সিআর.