শাররীক,মানসিক,অর্থকষ্টসহ নানা সমস্যাও দমাতে পারেনি শাররীক প্রতিবন্ধি যুবক মোঃ শফিউল আলম(২৮)কে।জীবন যুদ্ধে টিকে থাকতে দীর্ঘ প্রায় ১১ বছর ধরে পত্রিকা বিক্রি করে কোনমতে সংসার চালাচ্ছে।
জানা গেছে,মোঃ শফিউল আলমের গ্রামের বাড়ি চট্রগ্রামের রাঙ্গুনীয়া উপজেলার পূর্বকোদালায়। ৩ ভাই ১ বোনের মধ্যে সবার ছোট শফিউল আর দশজন শিশুর মতো স্বাভাবিক ভাবেই জন্মগ্রহণ করেন। চার বছর বয়সে "পোলিও" রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর হতে সে শাররীকভাবে প্রতিবন্ধি হয়ে পড়ে।
অভাবের সংসারে পিতার মৃত্যুর পর বড় ভাইবোনরা যার যার সংসার নিয়ে আলাদা বসবাস করছে। প্রতিবন্ধি হওয়া সত্ত্বেও শফিউলকে জীবন যুদ্ধে নামতে হয়। বেঁচে থাকার প্রয়োজনে কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোনা থানা এলাকায় পত্রিকা বিক্রি শুরু করে প্রায় ১১ বছর আগে থেকে।পত্রিকা বিক্রি হতে প্রাপ্ত কমিশন দিয়ে কোনমতে তার সংসার চলছে।
গেল বৃহস্পতিবার চন্দ্রঘোনা থানাধীন রাইখালী বাজারে কথা হয় হকার মোঃ শফিউল আলমের সাথে।সে জানায়,কাপ্তাইয়ের রাইখালী বাজার, ফেরিঘাট,বড়খোলা পাড়া ও কারিগর পাড়া এলাকায় সে জাতীয় এবং আঞ্চলিক পত্রিকা বিক্রি করে থাকে।প্রতিদিন পত্রিকা বিক্রি করে এজেন্টের টাকা ববাদ দিয়ে গড়ে তার আয় হয় ২২০ টাকা।এর মধ্যে গাড়ী ভাড়া, চা- নাস্তা বাবদ খরচ হয় ১ শ` টাকা।অবশিষ্ট টাকা দিয়ে খেয়ে না খেয়ে অনেক কষ্টে কোন মতে তার সংসার চলছে। বর্তমানে মা,স্ত্রী,কন্যা নিয়ে চার সদস্যের তার সংসার।
তার ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধির দয়ায় মাসে ৭শ`টাকা হারে সে প্রতিবন্ধি ভাতা পাচ্ছে।তবে সে টাকা ছয়মাস পর পর দেওয়া হয়। শফিউল আরো জানায়, বাংলাদেশ রেলওয়েতে "খালাসি"পদে আবেদন করার পর সম্প্রতি ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছে।শাররীক প্রতিবন্ধি হিসেবে এ চাকরিটা তাকে দেওয়া হলে বৃদ্ধ মা`সহ স্ত্রী, সন্তান নিয়ে টিকে থাকতে পারবে।এব্যাপারে শফিউল রেলওয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি ও রাঙ্গুনীয়ার মাটি ও মানুষের নেতা ডঃ হাছান মাহমুদ এমপি`র সহযোগিতা চান। হকার শফিউলকে সাহায্য পাঠানোর নম্বর ০১৮১২-২২১৫৩৮।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.