ইউনাএটড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ) সমর্থিত গণতান্ত্রিক যুব ফোরামসহ ৮ টি পাহাড়ী সংগঠন বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সন্মেলন করেছে । বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের সাপমারা ঝিড়ি, বাদুর ঝিড়ি বড় পাড়া ও আংক্ষ্যং পাড়া মারমা ও চাক পরিবার উচ্ছেদের ঘটনা সরেজমিনে তদন্ত শেষে এ সংবাদ সন্মেলনের আয়োজন। সংবাদ সন্মেলনে নেতৃবৃন্দ চাক ও মারমা জাতিসত্তাসহ নাক্ষ্যংছড়ি স্থায়ী বাসিন্দাদের বসতভিটা ও জায়গা-জমি রক্ষার্থে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ,বিজিবি ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাহাড়ি বাঙালির সম্প্রীতি বিনষ্ট হয় এমন উস্কানিমূলক তৎপরতা বন্ধ করা, টেকনাফ-উখিয়ায় চাকমাদের জায়গা-জমি রক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে অনবিলম্বে সরকারিভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করাসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছেন। ৮ সংঠনের কনভেনিং কমিটি সদস্য ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি সভাপতির থুইক্যচিং মারমার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বার্তায় বলা হয়, আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ৮ গণসংগঠনের প্রতিনিধি দলের সদস্য ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি থুইক্যচিং মারমা। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রতিনিধি দলের প্রধান ও সাজেক ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি জ্ঞানেন্দু চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও কনভেনিং কমিটির সদস্য সচিব অংগ্য মারমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও কনভেনিং কমিটির সদস্য মাদ্রী চাকমা, ঘিলাছড়ি নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির নেত্রী ও কনভেনিং কমিটির সদস্য কাজলী ত্রিপুরা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক এসিংমং মারমা ও সদস্য শুভ চাক। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ৮ সংগঠনের কনভেনিং কমিটির প্রতিনিধি দলের নেতৃবৃন্দ সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। সংবাদ সন্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা বাইশারী ইউনিয়নে সাপমারা ঝিড়ি, বাদুর ঝিড়ি বড় পাড়া থেকে সংখ্যালঘু মারমা ও চাক জাতিসত্তার পরিবারদের উচ্ছেদ এর বিষয়ে পরিদর্শনে গিয়ে তাদের দুঃখ-দুর্দশা চিত্র বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। রেন। এছাড়া লিখিত বক্তব্যে কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার ১৭ ব্যাটালিয়ন এর বিজিবি জওয়নাদের দ্বারা অন্যায়ভাবে রাঙামাটি ট্রাইবেল আদাম পারমী বৌদ্ধ বিহারের বিহারাধ্যক্ষ শাসন রক্ষিত ভিক্ষু ও সবিতা ভিক্ষুকে(আবাসিক ভিক্ষু) আটকের বিষয়ে তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার চাকমা পল্লীতে ঘুরে এসে সেখানকার জনগণের বাস্তব অবস্থাও তুলে ধরা হয়। সংবাদ সন্মেলনে বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রামের ৮ গণসংগঠনের কনভেনিং কমিটির ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলটি গত ২৪ আগস্ট থেকে ২৬ আগস্ট বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ও কক্সবাজারের উখিয়া সফর করে। প্রতিনিধি দলটি প্রথমে নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ইউনিয়নে মারমা ও চাক পরিবারদের উচ্ছেদের ঘটনা পরিদর্শন করে ও পরে কক্সবাজারের উখিয়ায় চাকমা পল্লীতে সফর করে। উখিয়ায় সফরকালে প্রতিনিধি দলের নেতৃবৃন্দ গত ৯ জুলাই বিজিবি কর্তৃক আটক হওয়া দুই বৌদ্ধ ভিক্ষুর সাথেও দেখা করেন। সংবাদ সন্মেলনে অন্যান্য দাবিগুলো হল রাবার ও অন্যান্য বাণিজিক্য বাগান বাগিচা প্রকল্প বন্ধ করে অনাবাসী ভূমি মালিকদের জমি অধিগ্রহণপূর্বক তা প্রকৃত মালিকদের নিকট ফিরিয়ে দেয়া,ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বরাদ্ধ দেয়া প্লট বাতিল করা হোক, ভূমি বেদখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া,বন ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর সকল ধরনের প্রকল্প বন্ধ করা এবং উখিয়ায় বৌদ্ধ ভিক্ষুদের হয়রানি ও আটকের জন্য দায়ী বিজিবি কর্মকর্তা ও জওয়ানদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনী পদক্ষেপ নেয়া।
–হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.