বুধবার নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচন,কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন

Published: 24 Jul 2018   Tuesday   

বুধবার রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিন জন প্রার্থী প্রদ্বন্ধিতা করছেন। তবে মূল প্রতিদ্বন্ধিতা হবে দুই প্রার্থীর মধ্যে।

 

এদিকে শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে লক্ষ্য উপজেলা প্রশাসন সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।


উল্লেখ্য, গেল ৩ মে নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের কার্যালয়ের সামনে দুর্বৃত্তদের গুলিতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমা। পরদিন তাঁর শেষকৃত্যে খাগড়াছড়ি থেকে আসার পথে একই উপজেলা বেতছড়ি বাজার এলাকায় দুর্বৃত্তদের এলোপাতাড়ি ব্রাশফায়ারে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক দলের প্রধান তপন জ্যোতি চাকমাসহ পাঁচজন নিহত হন। ওই দুই ঘটনার জন্য ইউপিডিএফকে দায়ী করেছে জনসংহতি সমিতি ও ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক। এর পর থেকে নানিয়ারচরে উভয়পক্ষে বেশ কিছু বন্দুকযুদ্ধ, অপহরণের ঘটনা ঘটে। ফলে এলাকার জনসাধারনের এ আতংক এখনো কাটেনি।


উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গেল মাসের ১১জুন নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা করা হয়। এতে চার জন মনোনয়পত্র জমা দেন। পরে রুপম দেওয়ান প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে। গেল ৪ জুলাই প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। এখন তিনজন চেয়ারম্যান পদে লড়াই করবেন। তাঁরা হলেন, প্রণতি রঞ্জন খীসা, প্রগতি চাকমা ও কল্পনা চাকমা। এরমধ্যে প্রগতি চাকমা জনসংহতি সমিতিল (এমএন লারমা) সমর্থিত প্রার্থী। অন্য দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাবি করছেন। তবে প্রণতি রঞ্জন খীসাকে ইউপিডিএফের মৌন সমর্থন রয়েছে। নির্বাচনে ১৪টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে। সব ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহিৃত করে উপজেলা প্রশাসন। মোট ভোটার রয়েছে ৩২ হাজার ৮৫৪জন। কেন্দ্রগুলোর মধ্যে রয়েছে সাবেক্ষ্যং ইউনিয়নে ৪টি, নানিয়ারচর সদর ইউনিয়নে ৪টি, বুড়িঘাট ইউনিয়নে ৪টি এবং ঘিলাছড়ি ইউনিয়নে ২টি।


এদিকে, এ উপ নির্বাচনে প্রগতি চাকমা ও প্রণতি রঞ্জন খীসার মধ্যে প্রতিদ্বন্ধিতা হবে। এই দুই প্রার্থীর আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের সমর্থন রয়েছে। তবে বিবদমান গ্রুপের সংঘাত এবং তিনটি দল থেকে হুমকি ও চাপের কারণে ভোটারদের মাঝে চাপা আতংক রয়েছে।


উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, নির্বাচন সম্পূর্ণ সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন করতে প্রতিটি কেন্দ্রে ১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতয়েন করা হবে।


উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটানিং অফিসার সাইদুর রহমান বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে ইসি থেকে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে পুলিশ, আনসার, ভিডিপিসহ অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন ছাড়া গোটা নির্বাচনী এলাকায় র‌্যাব, সেনাবাহিনী, বিজিবি সদস্যের পর্যাপ্ত টহল থাকবে। এরই মধ্যে মোতায়েন করা আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা যার যার এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন।


তিনি আরো জানান, গতকাল মঙ্গলবার সবকটি কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স, ব্যালট পেপারসহ যাবতীয় নির্বাচনী সামগ্রী এবং প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসারদের পাঠানো হয়েছে। নির্বাচনে কেউ বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি বা আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করলে সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত