পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম স্থগিত ও পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদ কার্যালয়ের গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাঙামাটিকে বিক্ষোভ-সমাবেশ করা হয়েছে। পার্বত্য যুব সংহতি সমিতির উদ্যোগে জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন,পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতির জেলা সভাপতি সুর্নিমল দেওয়ান। বক্তব্য দেন সংগঠনের ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক পলাশ তংচংগ্যা, পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতির জেলা শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক জোনাকি চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি বাচ্চু চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতির জেলা শাখার তথ্য ও প্রচার সম্পাদক পাপণ বিকাশ চাকমা। এর আগে একটি বিক্ষোভ-মিছিল পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি সমিতির জেলা কার্যালয় শুরু হয়ে বনরুপা প্রেটোল পাম্প চত্বর পর্ষন্ত ঘুরে গিয়ে জেলা প্রশাসন কার্যালয় চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বক্তারা বলেন, পার্বত্য চুক্তি পুর্ন বাস্তবায়ন না করে রাঙামাটিতে মেডিকেল কলেজ ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের চেষ্টা করা হলে তা যে কোন মুল্য প্রতিহত করা হবে। বক্তারা পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সামনে গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে তারা অবিলম্বে হামলার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানান। গত ২২ সেপ্টেম্বর ভোরে আঞ্চলিক পরিষদ চত্বরে গ্রেনেড হামলার প্রসঙ্গ টেনে বক্তারা প্রশ্ন রেখে বলেন, প্রশাসনের নাকের ডগায় এসে সন্ত্রাসীরা গ্রেনেড হামলা চালায় এটা কোনো ধরণের ষড়যন্ত্র, প্রশাসন কি ঘুমিয়ে থাকে? বক্তারা আরও বলেন, পার্বত্য চুক্তি পুর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের আগে কোনো অবস্থাতেই মেডিকেল কলেজ ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে অস্ত্র হাতে তুলে নেয়া হবে, যেভাবে ১৯৭২ সালে নেয়া হয়। বর্তমান সরকার মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে পাহাড়িদের সাথে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। যেকোনো মূল্যে এ ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে।
–হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.