ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের গবেষণা ইন্সিটিউটের ৩য় বর্ষের মেধাবী ছাত্র সুমন চাকমা দূরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার ফুসফুসে ‘লো গ্রেড এমপ্লোমা’ বাসা বেঁধেছে।
তার আরোগ্য লাভের জন্য তাকে দ্রুত দেশের বাইরে ভারতে নিয়ে চিকিৎসার প্রয়োজন। এজন্য তার কয়েক লক্ষ টাকার প্রয়োজন। সুমন চাকমার বাবা সুপন চাকমা পেশায় একজন কৃষক এবং মা সুনীতি চাকমা’র গৃহিনীর পক্ষে চিকিৎসার বিপুল এই দায়ভার বহন করা স্বপ্নেরও অতীত। ছোটবেলা থেকেই প্রতিকূল সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এগোতে হয়েছে খাগড়াছড়ি সদরের মাইসছড়ি ইউনিয়নের দাঁদক্রপ্যা গ্রামের আগলাশিং পাড়ার অনন্য এই মেধাবী শিক্ষার্থীকে।
ঠাকুরছড়ায় এক আত্মীয়ের বাসায় থেকে ২০১৩ সালে জিপিএ ফোর পেয়ে সুমন খাগড়াছড়ি সরকারি কলজে ভর্তি হন। বাড়ি বাড়ি টিউশনি করে অবশেেষ ২০১৫ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৪.৪২ পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে উত্তীর্ন হন।
ঢাকা বশ্বিবদ্যিালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসয়িশেন’র শিক্ষাবৃত্তি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে র্পাট টাইম চাকুরি ও বাবা-মার সামান্য যোগানই হচ্ছে তার উচ্চশক্ষিার পথের পাথেয়।
সুমন চাকমা জানান, একবুক স্বপ্ন ও আশা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন দেশের শ্রেষ্ঠা বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে। আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন ছিল বাবা-মা’রও। স্বল্পভাষী, অমায়িক মানুষটি আজ কঠিন এক দূরারোগ্য রোগে অবসন্নভাবে শুয়ে আছনে হাসপাতালের বিছানায়।
সময়মতো উন্নত চিকিৎসা করা গেলে একটি উজ্জল সম্ভবনাময় তরুণের জীবন ও স্বপ্নকে বাঁচানো সম্ভব। কিন্তু তার চিকিৎসার জন্য অনেক লক্ষ টাকার প্রয়োজন। এত টাকা তার দরিদ্র কৃষক বাবার পক্ষে যোগাড় করা অসম্ভব। তাই তিনি তার একমাত্র ছেলের উন্নত চকিৎিসার জন্য সমাজের বিত্তবান ও সহৃদয় ব্যক্তিদের কাছে আর্থিক সাহায্য ও সহযোগিতার আবদেন জানিয়েছেন।
আর্থিক সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা বিকাশ নাম্বার-০১৫১৬-১৯৫০৮৬। বিস্তারিত জানতে সুপন চাকমা’র (সুমন চাকমা’র বাবা) সাথে এই নম্বরে ০১৫৫২-৭৪২০৩৯ এ যোগাযোগ করা যাবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.