শেখ হাসিনার ৬৮তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে জেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে রোববার রাঙামাটিতে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার বলেছেন, পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন একটি চলমান প্রক্রিয়া। সম্প্রতি মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ ও পর্যটন বিভাগ পার্বত্য জেলা পরিষদের নিকট সরকার হস্তান্তর করেছে। উক্ত হস্তান্তর অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ জানানো সত্বেও সন্তু লারমা ও উষাতন তালুকদার উপস্থিত থাকেননি। এক্ষেত্রে তাদের কোন প্রকার আপত্তি থাকলে তা তারা উপস্থিত থেকে জানাতে পারতেন। শান্তি চুক্তির পক্ষের নেতৃবৃন্দ হয়ে এ ধরনের নেতিবাচক মনোভাব হলে চুক্তি বাস্তবায়ন শ্লথ হতে বাধ্য। এতে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি, সম্প্রীতি ও গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে। পাশাপাশি পার্বত্য চুক্তি বিরোধীরা ষড়যন্ত্রের সুযোগ পাবে। জেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে সংগঠনের জেলা কার্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামীলীগের চিংকিউ সিনিয়র সহ-সভাপতি রোয়াজা, রুহুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর, রফিকুল মওলা, মিসেস শামীমা রশীদ, সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, আবুল কাশেম, জেবুন্নেছা রহীম, রাঙামাটি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাধন মনি চাকমা, রাঙামাটি পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নাসির উদ্দিন তালুকদার, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি বিদ্যুৎ জ্যোতি চাকমা, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ কাজল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, জেলা মৎস্যজীবি লীগের শ্যামল দেব প্রমুখ। আলোচনা সভা শুরুর পূর্বে রাঙামাটি জেলা আওয়ামী ওলামালীগের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নাজমুল হকের পরিচালনায় মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। পরে আলোচনা সভা শেষে কেক কেটে শেখ হাসিনার ৬৮তম জন্ম বার্ষিকী পালন করা হয়। জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বাতিলের দাবী জানিয়ে সন্তু লারমা প্রকৃতপক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বিরোধী অবস্থান গ্রহন করেছেন। কারণ পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডকে উন্নয়ন কর্মকান্ডের চলমান প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বিকৃতি দেওয়া হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির পক্ষ থেকে পার্বত্য জেলা পরিষদের সংশোধনী আইন চান না। অথচ জেএসএস নেতা উষাতন তালুকদার এম পি ডিও লেটার দিয়ে জনৈক বিজয় রতন দে ও এংলিয়ানা পাংখোকে জেলা পরিষদের সদস্য মনোনীত করার জন্য আবেদন করেছেন। এটিও তাদের আর একটি দ্বিমুখী নীতি। তিনি বলেন, জনসংহতি সমিতি থেকে বলা হচ্ছে এখানে পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ স্থাপন করতে দেওয়া হবে না। এগুলি বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে অস্ত্র বন্দুক দিয়ে প্রতিরোধ গড়া হবে। তাহলে পার্বত্য পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি কেন করা হলো। অস্ত্র দিয়ে সমাধান হয়নি বলে পার্বত্য শান্তি চুক্তি হয়েছিল। কারণ বন্দুক আর অস্ত্র কোন সমস্যার সমাধান দিতে পারে না। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি করে শান্তি ও গনতন্ত্রের জন্য অনন্য নজীর স্থাপন করেছেন। তিনি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকল প্রকার ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন ভিন্ন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক ও গনতান্ত্রিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
–হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর