রোববার খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে প্রতিটি বিহারে বিহারে ধর্মীয় আনন্দ শোভাযাত্রা ও বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদির মধ্য দিয়ে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে ত্রিস্মৃতি বিজরিত বৈশাখী পূর্ণিমা উদযাপিত হয়েছে।
বৈশাখী পূর্নিমা উপলক্ষে মহালছড়ি উপজেলার মিলনপুর বন বিহারে অষ্ট বিংশতি বুদ্ধ (আটাশ বুদ্ধ) পূজা, বিশ^ শান্তি কামনার্থে ভিক্ষু সংঘ হতে ধর্মীয় দেশনা শ্রবণ ও সমবেত প্রার্থনা, অষ্ট পরিস্কার দান, বুদ্ধমূর্তি দান, হাজার প্রদীপ দানসহ বিভিন্ন দানানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় সংঘ প্রধান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মিলনপুর বন বিহারের বিহারাধ্যক্ষ শ্রীমৎ শ্রদ্ধাতিষ্য মহাস্থবির। প্রধান ধর্মদেশক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার অজলচুগ বন বিহারের বিহারাধ্যক্ষ শ্রীমৎ সত্যমতি ভিক্ষু।
মিলনপুর বন বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি শান্তি মোহন চাকমা বলেন, বুদ্ধের মূখনিঃসৃত বাণীকে শ্মরন করে বিশে^র সকল প্রাণীর সুখ-শান্তির হিতার্থে ত্রিস্মৃতি বিজরিত শুভ বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে বৌদ্ধরা প্রতিবছর ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি করে থাকেন।
এদিকে আর্য্যমিত্র বৌদ্ধ বিহারের আয়োজনে সকাল সাড়ে ৮টায় এক বিশাল আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে মহালছড়ি সদরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পূণরায় বিহারে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় বিভিন্ন বিহারের বিহারাধ্যক্ষগণ ও মহালছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান রতন কুমার শীলসহ ধর্মপ্রাণ পূণ্যার্থীরা অংশগ্রহন করেন। আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে একইভাবে ধর্মীয় দেশনাসহ বিভিন্ন দানানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ ছাড়া উপজেলার সকল প্রতিটি বিহারে গিয়ে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা পূণ্য লাভের আশায় ছোয়েং দান, প্রদীপ পূজা ও পানীয় দান করে পঞ্চশীল গ্রহন করেছেন।
উল্লেখ্য, মহাকারুণিক তথাগত সম্যক সম্বুদ্ধের জন্মগ্রহন, বুদ্ধত্ব লাভ ও মহাপরিনির্বান লাভ করার কারণে বৌদ্ধদের কাছে এ দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূণ। ত্রিস্মৃতি বিজরিত শুভ বৈশাখী পূর্ণিমা এ তিথিকে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা বুদ্ধ পূর্ণিমা হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকেন এবং বৌদ্ধরা শুভ এদিনটিতে প্রতি বছর বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব করে থাকেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.