কাব্য হলো সুখ দু:খ, শান্তি-অশান্তি,হাসি-কান্না,জ্বালা-যন্ত্রনা,বাদ- প্রতিবাদ সুংক্রান্ত কবি মনের কল্পিত বা বাস্তব অভিব্যক্তি। তেমনি কিছু অভিব্যক্তি প্রকাশে কবি সুনীল কান্তি দাশ(শ্যাম) এর নীল জ্যোস্না নামক কাব্য গ্রন্হের অবতারণা।
গেল ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা অমর একুশের বই মেলার ১২৯ নং স্টল হতে মৌ প্রকাশনীর ব্যানারে প্রকাশিত হয় কবিতার এই কাব্য গ্রন্হটি। রাংগুনিয়ার দানশীল ব্যাক্তিত্ব দীপেন সাহা,কবি ও লেখক সাইদুল হক সহ চন্দ্রঘোনা ও রাংগুনিয়া ফোরামের সদস্যরা এই সময় উপস্হিত ছিলেন।
"নীল জ্যোস্না" কাব্যগ্রন্থ টিতে সর্বমোট ৮০ টি কবিতা স্হান পায়। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থটিতে লেখক তাঁর প্রিয়তমা স্হী দীপালীকে নিয়ে রছিয়েছেন তাঁর মনের অব্যক্ত কথামালা। বইয়ের ১৮ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত কবিতা "হোক সভ্যতার জয়" কবিতাটিতে তিনি মানবতার জয় গান করেছেন।" পাহাড়ি মেয়ে" শিরোনামে তাঁর প্রিয়ভাজন প্রয়াত ছয়নিকাকে নিয়ে উৎসর্গিত প্রকাশিত কবিতাটিিতে তিনি পাহাড়ের নৈসর্গিকতা বর্ণনা করেছেন। বইয়ের ৪৭ পৃষ্ঠায় বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক সংগঠক যন্ত্র সংগীত শিল্পি ঝুলন দত্তকে নিয়ে " ঝুলন দত্ত" শিরোনামে কবিতা সমগ্র সংস্কৃতিনুরাগীদের তিনি সম্মান প্রদর্শন করেছেন। নীল জ্যোৎস্না কাব্যটিতে লেখক কখনোও প্রেম,বিরহ, প্রকৃতির বন্দনা, মানবতা,নদী, ফুল, পাখি, দেশাত্ববোধ এবং রোহিঙ্গাদের প্রতি তাঁর ভালোবাসা ব্যক্ত করেছেন।
৩৮ বাংলাবাজার মৌ প্রকাশনী হতে প্রকাশিত এই কাব্যগ্রন্থটির প্রকাশক মৌ প্রকাশনীর মো: রবিউল ইমলাম লাভলু। লেখক সুনীল শ্যাম বইটি উৎসর্গ করেছেন ২০০৭ সালে তিনি যখন গুরতর অসুস্হ হয়ে পড়েন, তখন তার পাশে যারা দাঁড়িয়েছেন তাদেররপ্রতি। উল্ল্যেখ যে, লেখক সুনীল কান্তি শ্যাম ১৯৬১ সালের ১৫ আগস্ট চট্রগ্রাম জেলার রাংগুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা শ্যামাপাড়ায় জন্মগ্রহন করেন। কাপ্তাই চন্দ্রঘোনা পাহাড়িকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়ার শিক্ষক হিসাবে তিনি এতদঞ্চলে জ্ঞানের আলো জ্বালিয়ে আসছেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছেন। তার স্ত্রী চন্দ্রঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং তার দুই সন্তান অন্তর শ্যাম ও রক্তিম শ্যাম তীর্থ অধ্যয়নরত আছেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.