৩০ জানুয়ারীর মধ্যে সর্বনিম্ন মজুরি ৮,৭৫০ টাকা নির্ধারণ করে ১ জুলাই ২০১৫ হতে জাতীয় মজুরি স্কেল ঘোষনাসহ ১৯ দফা বাস্তবায়নের দাবী জানিয়েছে সেক্টর কর্পোরেশন শ্রমিক- কর্মচারী ফেডারেশন সমন্বয় পরিষদ। এরমধ্যে দাবী মেনে না হলে সমন্বয় পরিষদ কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।
রোববার কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী পেপার মিলের (কেপিএম) সিবিএ নেতৃবৃন্দ কর্তৃক এ সংক্রান্ত একটি লিফলেট মিলের শ্রমিকদের নিকট বিলি করলে বিষয়টি জানা যায়। বিতরণ কালে লিফলেট পেতে শ্রমিকদের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ দেখা গেছে। বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্টিজ, ইস্পাত ও প্রকৌশল, পাটকল, চিনিকল, এফআইডিসি ও পাঁচটি কর্পোরেশনের বেসিক ইউনিয়নের (সিবিএসহ) নামে লিফলেটের প্রচারনা চালানো হচ্ছে।
দাবী সমূহের মধ্যে ১ জুলাই ২০১৫ হতে কার্যকর করার শর্তে আগামী ৩০ জানুয়ারীর মধ্যে সর্বনিম্ন ৮,৭৫০ টাকা প্রারম্ভিক মজুরি নির্ধারণ করে প্রস্তাবিত জাতীয় মজুরি স্কেল ঘোষনা করা, কর্পোরেশন এবং কর্পোরেশনের অধীন শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ন্যায় শ্রমিকদের শ্রান্তিবিনোদন ছুটি ও নববর্ষ ভাতা প্রদান করা, পি,ও ২৭/১৯৭২ এর অধীনে সৃষ্ট কর্পোরেশন এবং একই অধ্যাদেশবলে কর্পোরেশনের অধীন ন্যাস্ত প্রগিষ্ঠানসমূহের শ্রমিক/কর্মচারীদের জন্য পেনশন/পেনশন সিস্টেম গ্র্যাচুইটি প্রথা প্রর্বতন করা, কর্পোরেশন সমূহের অধীনস্থ শিল্পপ্রতিষ্ঠানের অবসরপ্রাপ্ত,মৃত শ্রমিক কর্মচারীদের সার্ভিস বেনিফিট,প্রভিডেন্ড ফান্ড,বীমা,ডেথ কমপেনসেশন ও অন্যান্য আইনানুগ বকেয়া পাওনাদি বাংলাদেশ শ্রম আইনের বিধান অনুযায়ী পরিশোধ করা, জুট মিলস্ কর্পোরেশনের অধীনস্থ শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের শ্রমিক/কর্মচারীদের সাপ্তাহিক/মাসিক মজুরি/বেতন শ্রম আইনের বিধান মোতাবেক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিয়মিত পরিশোধের নিশ্চয়তা এবং চিনি শিল্পের শ্রমিক কর্মচারীদের প্রতিমাসের বেতন ৭তারিখের মধ্যে প্রদান করা, বাংলাদেশ জুট মিলস কর্পোরেশন/ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানসমূহের শ্রমিকদের সরকার ঘোষিত ২০ ভাগ মর্হাঘভাতার বকেয়া পরিশোধ করা, কর্পোরেশনসমূহের অধীন শিল্প প্রতিষ্ঠান সমূহের যে সকল কর্মচারীকে ১৯৭৪ সালের গণকর্মচারী অবসর আইন অনুযায়ী ৫৯ বছর পূর্তিতে চাকরি হতে অবসর প্রদান করা হয় তাদেরকে কর্মকর্তাদের ন্যায় পিআরএল ও লাম্প গ্রান্ট সুবিধা প্রদান করা, কর্পোরেশনের অধীন শিল্প প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রভিডেন্ড ফান্ড হতে তহবিলে / ট্রাস্টে সুদসহজমা করতে হবে এবং সেসব শিল্প প্রতিষ্ঠানে গ্র্যাচুইটি ফান্ড ট্রাস্ট গ্রহণ করা হয়নি সেসব প্রতিষ্ঠানে গ্র্যাচুইটি ফান্ড স্থাপন করে গ্র্যাচুইটি টাকা জমা করা, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী শিল্প কারখানায় কর্মরত মহিলা শ্রমিক/কর্মচারীদের বেলায় প্রসূতি ছুটি ৪ মাস হতে ৬ মাস বৃদ্ধি করা, শ্রমজীবি মানুষের সহিত বিরাজমান বৈষম্য নিরসনকল্পে জাতীয় মজুরি কমিশন ভূক্ত শ্রমিকদের জাতীয় কমিশনভুক্ত করাসহ ১৯ টি দাবী রয়েছে। উক্ত সময়ের মধ্যে জাতীয় মজুরি স্কেল ঘোষনাসহ উল্লেখিত দাবীসমূহ মেনে না নেওয়া হলে ১৯ দফা আদায়ে আন্দোলন কর্মসূচী ঘোষনা ছাড়া কোন উপায় থাকবে না বলে লিফলেটে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের জুলাই থেকে পে-স্কেল ঘোষনার প্রায় ত বছর হতে চলেছে,অথচ একই প্রতিষ্ঠানে একই সাথে চাকরি করলেও শ্রমিকদের মজুরি স্কেল ঘোষনা করা হয়নি। এতে শ্রমিকরা আর্থিক অনটনে পড়বে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.