আকাশ সংস্কৃতির দৌরাত্বে আর দশকের অভাবে গেল ২৭ বছরে বন্ধ হয়ে গেছে কাপ্তাই উপজেলার ৮টি সিনেমা হল।অথচ এই কাপ্তাই উপজেলা এক সময় রাঙামাটি জেলার মধ্যে বিনোদনের সেরা স্থান হিসেবে বিবেচিত হতো।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৯০ দশক পযন্ত কাপ্তাই উপজেলা ছিল জেলার সবচেয়ে বেশি উন্নয়নশীল এলাকা।সমগ্র উপজেলায় ৭/৮টি সিনেমা হল ছিল।এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ছিল বেশ কয়েকটি সাংস্কৃতিক সংগঠন।প্রায় সারা বছর জুড়েই এসব সংগঠনের কোন না কোন অনুষ্ঠান চলত।অথচ সময়ের সাথে সাথে একে একে বিনোদনের সব মাধ্যমই বন্ধ হয়ে গেছে।১৯৮৮ সালে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরিচালনাধীন "অলিম্পিয়া সিনেমা হল"বন্ধের মাধ্যমে উপজেলার বিনোদন অংগনে ধ্বস শুরু হয়।`৯০ সালে বন্ধ হয়ে যায় কাপ্তাই নতুন বাজারে অবস্থিত "লোটাস"সিনেমা হল। ১৯৯১ সালের প্রলয়ংকারি ঘূণিঝড়ে বিধ্বস্থ হয়ে পড়ে চন্দ্রঘোনা কেপিএমের আওতাধীন চান্দিমা সিনেমা হল।প্রায় একযুগ সিনেমা হলটি বন্ধ থাকার পর ২০০৩ সালে বিপুল পরিমানে অথ ব্যয় করে হলটি পুনরায় চালু করা হলেও দশকের অভাবে একমাসের মাথায় হলটি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় মিল প্রশাসন।
১৯৯৯ সালে বিধ্বস্থ হওয়ার বাংগালহালিয়ার "শান্ত" সিনেমা হলটি আর চালু করা হয়নি।২০০২ সালে বন্ধ করে দেওয়া হয় রাইখালীর"উরমি" সিনেমা হল।এরপর বন্ধের তালিকায় যুক্ত হয় মিতিংগাছড়ির" বজ্রংগনা" সিনেমা হল। কাপ্তাই " বনলতা" সিনেমা হলটি মাঝে মধ্যে চালু করা হলেও দশকের অভাবে অধিকাংশ সময়ই বন্ধ রাখে মালিকপহ্ম।অবশেষে লোকসান জনিত কারণে বিগত জোট সরকারের সময় এটিও বন্ধ করে সেটিকে বরফকলে রুপান্তরিত করে।বন্ধ এসব সিনেমা হল আবার পুনরায় চালু হবে এমন স্বপ্ন এখন আর কেউ দেখে না।
বিনোদনের সহজ মাধ্যম সিনেমা হলগুলো কেন বন্ধ হয়ে গেছে এমন প্রশ্ন করা হলে কয়েকজন সিনেমা হল মালিকরা বলেন, আকাশ সংস্কৃতি ও ইন্টারনেটের বদৌলতে মোবাইলের মাধ্যমে এখন হাতেহাতে নতুন সিনেমাগুলি চলে আসে।হলে বসে এখন সিনেমা দেখার সময় কই।আর অল্প টাকা খরচ করলেই সদ্য মুক্তি পাওয়া ছবি গুলো মোবাইলে অথবা টিভির মাধ্যমে দেখা সম্ভব হয়।এছাড়াও আগের মতো পারিবারিক কাহিনীর তেমন সিনেমা তৈরী হয়না বিধায় হলে বসে ছবি দেখার আগ্রহও মানুষের নেই।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.