মঙ্গলবার শহরের আসামবস্তি শ্মশানে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী প্রকৌশলী সত্যব্রত ভট্টাচার্য পংকজের শেষকত্যৃ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গেল সোমবার চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানীর মেজবানে পদদলিত হয়ে তিনি নিহত হন।
প্রতিবেশী ও নিহতের বড় ভাইয়ের বন্ধু দেবব্রত চৌধুরী কুমকুম জানান, গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে শহরের আসামবস্তির কেন্দ্রীয় শ্মশানে প্রকৌশলী সত্যব্রত ভট্টাচার্য পংকজের শেষ কৃত্য অনুষ্ঠিত হয়েছে। শেষ কৃত্য অনুষ্ঠানে তার আত্বীয়-স্বজন, বন্ধুবাবন্ধরা উপস্থিত ছিলেন। আগামী চার দিনের মধ্যে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী শ্রাদ্ধক্রীড়া সম্পন্ন করা হবে।
তিনি আরো জানান, পংকজ লক্ষীপুর উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি চট্টগ্রামের বাশখালী উপজেলায় উপ-সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে পদোন্নতি পান। পংকজ চট্টগ্রাম শহরের খাস্তগীর সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ে তার মেয়ের পঞ্চম শ্রেনীর ভর্তির সংক্রান্ত বিষয়ে চট্টগ্রামে কাজে গিয়েছিলেন। তার বাড়ী রাঙামাটি শহরের কালিন্দীপুর এলাকায়। পংকজের বাবার নাম অমরেন্দ্র ভট্টাচার্য, মাতার নাম আশালতা ভট্টাচার্য। পংকজরা ৪ ভাই ও ১ বোনের মধ্যে মেজো। তার এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। তিনি পরিবার নিয়ে লক্ষীপুরে থাকতেন।
তিনি জানান, পংকজ মারা যাওয়া ঘটনায় তার মা-বাবা, ভাইয়েরা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। কারোর সাথে কথা বলতে চাইছেন না।
উল্লেখ্য, সোমবার নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানীর মেজবানের আয়োজন করা হয়। সেখানে মেজবান খেতে গিয়ে পদদলিত হয়ে ১০ জন নিহত হন। এর মধ্যে রাঙামাটির বাসিন্দা স্থানীয় সরকার প্রকৌশ অধিদপ্তরের(এলজিইডি) লক্ষীপুর উপজেলায় সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত সত্যব্রত ভট্টাচার্য পংকজ(৪২) প্রাণ হারান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.