দেশ স্বাধীনের ৪৬ বছর পরও বান্দরবানের লামা উপজেলায় প্রশাসনের উদ্দ্যোগে নির্মান হয়নি কোন শহীদ মিনার। সাবেক মহকুমার লামা`য় কোন শহীদ মিনার না থাকায় তৎকালীন লামা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নুরুল আলম ১৯৮০ সালে বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষের সম্মুখে ইটের তিনটি পিলার দিয়ে কোন রকম একটি শহীদ মিনার করেছিলেন। এ শহীদ মিনারে উপজেলা প্রশাসনসহ সকলে জাতীয় দিবসগুলো পালন করে আসছে আজো।
এ ব্যাপারে লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খিন ওয়ান নু এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি এ উপজেলায় যোগদান করার পর উপজেলা পর্যায়ের কোন শহীদ মিনার না থাকায় চলতি বছরের গেল ১৪ মার্চ একটি পূর্নাঙ্গ শহীদ মিনার স্থাপন করার জন্য পার্বত্য চট্রগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এর চেয়ারম্যান বরাবরে একটি লিখিত আবেদন করেছি। উপজেলা প্রশাসনের নিজ উদ্যোগে শহীদ মিনার তৈরী করার তেমন ব্যবস্থা না থাকায় হয়তো এতোদিন কেউ উদ্যোগ নেয়নি। আমি চেষ্টা করছি এ উপজেলায় একটি পূর্নাঙ্গ শহীদ মিনা স্থাপন করতে। বর্তমানে উপজেলা প্রশাসন থেকে এক কিলোমিটার দূরে লামা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারটিতে আমাদের সকল জাতীয় দিবস গুলো পালন করতে যেতে হয়। সেখানে নিরাপত্তার সমস্যা রয়েছে।
এদিকে লামা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ নুরুল আলম সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সাবেক লামা মহকুমারে কোন শহীদ মিনার না থাকায় আমি নিজে উদ্যোগ নিয়ে বিদ্যালয়ের অর্থায়নে ১৯৮০ সালে এ শহীদ মিনারটি স্থাপন করি। এর পর বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে আমি জাতীয় দিবস গুলো পালন করতে শুরু করি। এখনো এ শহীদ মিনারটি ব্যাবহার করে আসছে প্রশাসন থেকে সকলে।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর লামা উপজেলা কমান্ডার শেখ মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, দেশ স্বাধীন হলো ৪৬ বছর। কিন্তু লামা উপজেলায় এখনো পর্যন্ত প্রশাসনের উদ্যাগে কোন শহীদ মিনার স্থাপন হয়নি। বিষয়টি খুব দুঃখ্যজনক বিষয়। আমরা প্রশাসনকে বারবার অবহিত করেছি একটি শহীদ মিনার তৈরী করার জন্য।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.