বুধবার রাঙামাটিতে বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা শাখার উদ্যোগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গৃহীত অনগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবীতে বিক্ষোভ-মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সমাবেশে বাক্তারা পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্প্রতি গৃহীত ১১টি সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানান এবং এই সব অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত বাতিলের জোর দাবি জানান।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাসদের রাঙামাটি সমন্বয়ক কমরেড বোধি সত্ব চাকমা। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাসদ (মার্কসবাদী) নেতা কলিন চাকমা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, জেলা শাখার আহ্বায়ক জয় কুমার চাকমা ও রাঙামাটি সরকারি কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক আশাধন চাকমা, বিজ্ঞান চর্চা কেন্দ্রের সংগঠক নয়ন বিকাশ দেওয়ান প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল জেলা প্রশাসন কার্যালয় চত্বর থেকে শুরু হয়ে বনরূপার পেট্রোল পাম্প চত্বওে গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, এই সিদ্ধান্তসমূহ প্রমাণ করে যে এদেশে এক দেশে দুই নীতি চলছে। সবক্ষেত্রেই যেমন বুর্জোয়া শাকসকরা মালিক শ্রেণীর জন্য এক নীতি আর শ্রমিক শ্রেণীর জন্য আরেক নীতি অনুসরণ করছে, ঠিক তেমনি পার্বত্য চট্টগ্রামের জন্য এক নীতি আর অপরাপর অংশের জন্য আরেক নীতি প্রয়োগ ঘটাচ্ছে। একটা গণতান্ত্রিক দেশে রাষ্ট্র কোন বিষয়ে দুই নীতি প্রয়োগ করতে পারে না, চেহারা দেখে ভিন্ন ভিন্ন আইন বা বিধি-বিধান প্রণয় করতে পারে না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গৃহীত সিদ্ধান্তবলী পার্বত্য চট্টগ্রামে শুধুমাত্র পাহাড়ীদেরকে উদ্দেশ্য করে গৃহীত হয়েছে। তাই এসব সিদ্ধান্ত চরম অগণতান্ত্রিক ও সাম্প্রদায়িক।
বক্তারা শাসকগোষ্ঠীর এই সব অগণতান্ত্রিক ও বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত জনগণের উপর চাপিয়ে দেয়া নিরবে সহ্য করা হবে না বলে বক্তারা হুশিয়ারী উচ্চারণ কওে বলেন, বিগত ৪ দশক ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিরাজমান নিপীড়ন ও বৈষম্যের পরিস্থিতি অবসানে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীসহ দেেেশর গণতান্ত্রিক শক্তি যখন সোচ্চার তখন একে উপেক্ষা করে এ ধরণের পদক্ষেপ সরকারের চুড়ান্ত অগণতান্ত্রিক ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ। এটা পাহাড়ী বাঙ্গালী নির্বিশেষে দেশেবাসীর স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক অধিকারের উপর নগ্ন হস্তক্ষেপ। এর উদ্দেশ্য জুম্ম জনগণকে দেশের সাধারণ মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন করে সাম্প্রদায়িক প্রচারণার মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলে দমনমূলক সেনাশাসন আরো সুদৃঢ় করা।
বক্তারা পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি সমস্যার সমাধান, সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার, সকল হত্যাকান্ড ও নির্যাতনের ঘটনার বিচার, পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের দাবী আদায়ে সকল গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.