রাঙামাটির কাাউখালীর বেতবুনিয়ায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আইডিএফ কার্যালয়সহ দশটি কক্ষ ও আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। এতে পনের লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
রোববার দিবাগত রাত আড়াইটায় চায়েরী বাজার দক্ষিন পাড়া এলাকায় একাটি ভাড়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকেই নৈশপ্রহরি শশী মারমা গা ঢাকা দিয়েছেন অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গভীর রাতে অফিসে থাকা দুই কর্মচারী চিৎকার শুনে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। মহুর্তেই ছড়িয়ে পড়া আগুন নেভাতে চেষ্টা চালায় স্থানীয়রা। পরে আগুন নিয়ন্ত্রনে আসলেও ততোক্ষনে এনজিওটির ছয়টি কক্ষ ও বাড়ীর মালিকের চারটি কক্ষ সম্পূর্ণভাবে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
বাড়িটির মালিক মোঃ এনাম হোসেন পাটোয়ারী দাবী করেছেন কর্মকর্তাদের অপকর্মের প্রমাণ ধংস করতেই পরিকল্পিতভাবে অফিসের কাগজপত্রে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, আইডিএফ কর্মকর্তা মাহাবুব ও নৈশপ্রহরি শশী মারমা মদ্যপান করে হৈহল্লা করায় ফোনে এমন খবর শুনার পর শনিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে তিনি শশুরবাড়ি থেকে ছুটে আসেন। সেখান থকে রাত ১২টার দিকে ছুটে এসে পরিস্থিতি শান্ত করে তিনি আবার শ্বশুরবাড়ী চলে যান। এর পরই রাত আড়াইটার দিকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আইডিএফ এর শাখা ব্যবস্থাপক আনন্দ প্রিয় বড়ুয়া। তাঁর দাবী বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে সৃষ্ট আগুনে তাদের পুরো অফিসসহ শতকরা ৯৯ ভাগ কাগজ পত্র, কম্পিউটার, সোলার ও ফার্নিচার সমূহ পুড়ে গিয়ে প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।
রোববার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কাউখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এস চৌধুরী, বেতবুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সামশুদ্দৌহা চৌধুরী ও আইডিএফ চট্টগ্রাম ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর সুদর্শন বড়ুয়া ও আব্দুল আজিজ, রাঙামাটি এরিয়া ম্যানেজার মোরশেদুল আলম চৌধুরী।
--হিলবিডিপ২৪/সম্পাদনা/সিআর.