রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের কলাবাগান যৌথ খামার পাড়া এলাকায় বাঁশের সাকোঁ দিয়ে ঝুকি নিয়ে প্রতিদিন বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী পারাপার হতে হচ্ছে। গেল ১৩ জুন ভয়াবহ পাহাড় ধসের ঘটনায় ফুট ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় এই দুর্ভোগে দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে অবস্থিত কলাবাগান খামার পাড়া এলাকা। রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে ছড়ার ওপারে অবস্থান যৌথ খামার পাড়া ও কলাবাগান যৌথ খামার পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। পাড়াবাসী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য প্রস্থ ফুট ও দের্ঘ্য দেড়শ ফুটের একটি ফুট ওভার ব্রীজ নির্মাণ করে দেয় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু গত ১৩ জুন ভয়াবহ পাহাড় ধসের ঘটনায় ব্রীজের একটি অংশ ভেঙ্গে যায়। এলাবাসী ও শিক্ষার্থীদের চলাচলের জন্য বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। এই সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কোমলমতি শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীরা যাতায়াত করে থাকে। এতে অবর্নণীয় দুর্ভোগসহ জীবনের ঝুকি নিয়ে বাধ্য হয়ে পারাপার হতে হচ্ছে।
এলাকাবাসী তনয় বিকাশ চাকমা, কালাচান চাকমা, নাক্সাধন চাকমা জানান, গত ১৩ জুন পাহাড় ধসে ঘটনায় ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও এলকাবাসীদের পারাপারের জন্য ব্রীজের ভাঙ্গা অংশ থেকে বাঁশের সাকো তৈরী করা হয়েছে। বাঁশের সাকো দিয়ে উৎপাদিত পণ্য বাজারে নেয়া কষ্ট হচ্ছে। তারা অবিলম্বে ব্রীজটি সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন।
কলাবাগান যৌথ খামার পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক স্বর্ণ সেন চাকমা জানান, ফুট ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর এলাকার লোকজন বাঁশের সাকো দিয়েছে। ঝুকি নিয়ে এলাকার লোকজনসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কোমলমতি শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন পারাপার হতে হচ্ছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুজিবুল হক জানান, ভেঙ্গে যাওয়া এই ব্রীজটি সংস্কারের জন্য উন্নয়ন বোর্ডের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে কাজ শুরু করতে একটু সময় লাগতে পারে।
----হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.