খাগড়াছড়িতে চারদিন ব্যাপী রাস পূর্ণিমা উপলক্ষে রাস লীলা প্রদর্শনী ও ষোড়শ প্রহরব্যাপী মহানামযজ্ঞ উৎসব চলছে।
উৎসবের তৃতীয় দিনে শনিবার খাগড়াছড়ি শহরের কেন্দ্রীয় লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরে বেলা ১২টা থেকে পার্থিব সকল জীবের মঙ্গল কামনায় পূজা, ভোগরাগ পাঠ ও আরতি কীর্তন অনুষ্ঠিত হয়। আরতি শেষে মন্দির প্রাঙ্গণে প্রতিমা দর্শন ও প্রার্থনা করেন জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত ভক্তরা।
রাস উৎসবে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত কীর্তনীয়া দল অহোরাত্র মহানাম সংকীর্তন পরিবেশন করেন। কীর্তন উপভোগ করতে সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত মন্দির প্রাঙ্গণে ভক্তদের উপচে পড়া ভিড়।
রোববার ঊষালগ্নে মহানামযজ্ঞের পূর্ণাহুতি ও নগর পরিক্রমার মধ্য দিয়ে শেষ হবে চারদিনের রাস উৎসব।
রাস উৎসবকে ঘিরে খাগড়াছড়ি শহরের শহীদ কাদের সড়কে বসেছে গ্রামীণ মেলা। জেলা সদরসহ রামগড়, মহালছড়ি ও দীঘিনালা উপজেলার মন্দিরগুলোতে চলছে রাস উৎসব। শনিবার খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী দুপুর ১২টায় খাগড়াছড়ি জেলা শহরস্থ শ্রী শ্রী লক্ষ¥ীনারায়ন মন্দির ও দুপুর ২টায় দিঘীনালার বোয়ালখালী নারায়ন মন্দিরে ধর্মপ্রাণ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের রাস উৎসব পরিদর্শন করেন । এসময় তিনি মন্দিরে উপস্থিতি ধর্ম প্রাণ পূণ্যার্থীদের মাঝে প্রসাদ বিতরণেও অংশ নেন। এসময় তিনি উৎসব উদযাপনে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ থেকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের আশ^াস দেন এবং তাৎক্ষনিক কমিটির নিকট নগদ অর্থ প্রদান করেন। পরিদর্শন কালে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের সদস্য নির্মলেন্দু চৌধুরী ও সদস্য শতরূপা চাকমা উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শনকালে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে ধর্মীয়-সংস্কৃতি এবং ভাষাগ্রত বৈচিত্র্যেে জনপদ হলো ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম’। ঐতিহাসিকভাবেই এ অঞ্চলের পাহাড়িরা শান্তিপ্রিয় এবং অতিথি পরায়ন। সময়ের পালাবদলে এবং নানা রাজনৈতিক বাস্তবতায় পাহাড়ে মানুষ বেড়েছে। নানা ধর্মীয় আচার-আচরণ আর উৎসব বেড়েছে। এসবই এ অঞ্চলকে দেশে-বিদেশে অন্যমাত্রায় নিয়ে গেছে। কিন্তু একটি মহল পাহাড়ের সম্প্রীতি বিনষ্ট করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি অত্যন্ত সজাগ দৃষ্টিতে তাঁদের সম্মিলিত ভাবে প্রতিহত করার আহ্বান জানান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.