নানান ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দুদিন ব্যাপী রাঙামাটির যমচুগ বনাশ্রম ভাবনা কেন্দ্রে বুধবার কঠিন চীবর দানোৎসব শেষ হয়েছে।
যমচুগ বনাশ্রম ভাবনা কেন্দ্র মাঠে আয়োজিত ৩৪তম কঠিন চীবর দানোৎসবে প্রধান ধর্মালোচক ছিলেন বৌদ্ধরত্ন উপাধিপ্রাপ্ত শ্রীমৎ নন্দপাল মহাস্থবির।
ধর্মদেশনা দেন যমচুগ বনাশ্রম ভাবনা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ কল্যাণ জ্যোতি মহাস্থবির,লতিবাশ ছড়া বন বিহারের অধ্যক্ষ শুভবর্ধন মহাস্থবির প্রমুখ।
বক্তব্যে দেন যমচুগ বনাশ্রম ভাবনা কেন্দ্র পরিচালনা কমিটির সভাপতি বাসক্ষী চাকমা, রাঙামাটি আসনের নির্বাচিত এমপি উষাতন তালুকদারের প্রতিনিধি জয়ধন চাকমা, সাংবাদিক সুশীল প্রসাদ চাকমা। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্থান থেকে শত শত নারী-পুরুষ পূর্ন্যাথী অংশ নেন। সকালে পঞ্চশীল প্রার্থনা,বুদ্ধপূজা, অষ্টপরিস্কার দানসহ নানাবিধ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান শুরুতে উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করা হয়।
এর আগে গেল মঙ্গলবার মহাপূর্নবতী বিশাখার প্রবর্তিত ২৪ঘন্টার মধ্যে সুতা থেকে তুলা তৈরী করে কাপড় বুনন(রঙ বস্ত্র) করা হয়। এই চীবর উৎসব সহকারে অনুষ্ঠান মঞ্চে আনেন দায়ক-দায়িকারা। পরে তৈরীকৃত চীবর পূজনীয় ভিক্ষু-সংঘের উদ্দেশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে দান করা হয়।
প্রধান ধর্মালোচক বক্তব্যে শ্রীমৎ নন্দপাল মহাস্থবির বলেন, দানশীল ভাবনা উৎপন্ন হলে পূর্ন্য সঞ্চয় হয়। পূণ্যর ফলে মানুষের ইহকাল ও পরকালে সুখ সমৃদ্ধি লাভ হয়। লোভ, হিংসা, মোহ মানুষের দু:খের কারণে মানুষ মৃত্যূকালেও কষ্ট পায়। তিনি বুদ্ধ ধর্মের জ্ঞান লাভ করে দনশীল ও ভাবনা করার হিতোপদেশ দেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.