খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই। ফলে উপজেলার হাজার হাজার শিক্ষার্থী প্রতিবছর ভাষা শহীদের প্রতি শদ্ধা জানানো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আবার অনেক শিক্ষার্থীও জানে না কেন পালন করা হয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
উপজেলার শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, পানছড়ি উপজেলার ৮৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।এদের মধ্যে ৪০টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২১টি রেজিঃ ভূক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের অধীনে বেসরকারী প্রাইমারী স্কুল ২২টি এবং প্রক্রিয়াধীন ২টি বেসরকারী প্রাথমিক থাকলেও কোনো বিদ্যালয়ে কোন শহীদ মিনার নেই। এসব বিদ্যালয়ে হাজার হাজার শিক্ষার্থী অস্থায়ী শহীদ মিনার তৈরী করে প্রতিবছর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কয়েকটি বিদ্যালয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার তৈরী করে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করে থাকলেও হাজার হাজার শিক্ষার্থী প্রকৃত তথ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিশ্চুক কয়েকজন প্রধান শিক্ষক জানান, উপজেলার কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই। শহীদ মিনার থাকলে ভাষা শহীদরা কেন ভাষার জন্য প্রাণ দিলেন; কারা তাদেরকে হত্যা করল তা জানেতে শিক্ষার্থীরা আগ্রহী হতো। তাই অনেক শিক্ষার্থী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা সম্পর্কে কিছুই জানে না। প্রতিটি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার থাকা উচিৎ বলেও তারা মনে করেন।
পানছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন উপজেলার কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার না থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, শিক্ষার্থীরা পাশ্ববর্তী উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে থাকে। এ ব্যাপারে আমাদের কোনো বরাদ্দ নেই। প্রতিটি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার থাকা উচিৎ বলেও তিনি মনে করেন।
পানছড়ি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন বলেন, আগামী সমন্বয় সভায় এ সম্পর্কে উপস্থাপন করা হবে। উপজেলার শিক্ষাখাতে বরাদ্ধকৃত ২০ শতাংশ অর্থ থেকে ক্রমান্বয়ে সকল বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মান করা হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.