দীর্ঘ ৭০ দিন পর সোমবার সকাল থেকে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে ভারী যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। গেল ১৩ জুন পাহাড় ধসের ঘটনায় রাঙামাটির শালবাগান এলাকায় সড়কের প্রায় দেড়শ ফুট ধসে যায়। ধসে যাওয়া স্থানের পাশে বিকল্প সড়ক তৈরী করে এতো দিন হালকা যানবাহন চলাচল করছিল।
উল্লেখ্য, গেল ১৩ জুন ভারী বর্ষনে পাহাড় ধসে রাঙামাটি সদর,জুরাছড়ি,কাপ্তাই,কাউখালী ও বিলাইছড়ি এলাকায় দুই সেনা কর্মকর্তা ও তিন সেনা সদস্যসহ ১২০ জনের মৃত্যূ হয়। এ ঘটনায় রাঙামাটি শহরের ভেদেভদী, যুব উন্নয়ন বোর্ড শিমুলতলী,রুপনগর, নতুন পাড়া, মুসলিম পাড়া,মোনঘর এলাকা,ওমদা মিয়া হিলসহ বিভিন্ন এলাকায় লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত হন। ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য শহরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ১৯টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে ৩ হাজার ২শ জন নারী-পুরুষ ও শিশু আশ্রয় নিয়েছিল। পরবর্তীতে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত হওয়ায় বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা কিছু সংখ্যক পরিবার নিজ নিজ বাড়ী ঘরে ফিরে যাওয়ায় ৬টি আশ্রয় কেন্দ্র করা হয়। বর্তমানে এসব আশ্রয় কেন্দ্রে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ১৩ শ ২৬ জন আশ্রয়ে রয়েছে। এসব আশ্রিত লোকজনদের মাঝে দুবেলা খাবারসহ অনান্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে। রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের শালবাগান নামক স্থানে পাহাড় ধসে যাওয়ায় দীর্ঘ এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর হালকা যান চলাচলের খুলে দেয়া হয়।
এদিকে, রাঙামাটির সাপছড়ি ইউনিয়নের শালবাগান এলাকার রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের ৫০ ফুট দৈর্ঘ্য বেলী ব্রীজ নির্মানের কাজ এক মাস দশ দিনের মাথায় সমাপ্ত করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এতে ব্যয় হয়েছে ২কোটি ৩৭ লাখ টাকা। সোমবার অনুষ্ঠানিকভাবে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের বেলী ব্রীজের ওপর দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচলের উন্মুক্ত করা হয়। এতে উদ্ধোধন করেন রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ এমদাদ হোসেন। এসময় উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মাকসুদুর রহমান, উপ সহকারী প্রকৌশলী আবু মছাসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ এমদাদ হোসেন জানান, রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের সাপছড়ির শালবাগান এলাকায় ভেঙ্গে যাওয়া সড়কে বেলী ব্রীজের সোমবার থেকে ভারী যানবাহনের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। এখন থেকে সকল ধরনের পূন্যবাহী যানবাহন চলাচল করতে পারবে।
তিনি আরো জানান, গেল ১৩ জুন পাহাড় ধসের ঘটনায় রাঙামাটি জেলায় বিভিন্ন সড়কে ১৩৯টি স্থানে ভেঙ্গে গেছে। সেগুলো ইতোমধ্যে জরুরী ভিত্তিতে মেরামতের জন্য কাজ চলছে। এ জন্য ১৪কোটি ১লাখ টাকা মন্ত্রনালয় থেকে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে তার বরাদ্দ পাওয়া যাবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.