শুক্রবার ভারী বর্ষনে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের ঘাগড়া এলাকায় পাহাড় ধসের ভারী যানবাহন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এদিকে পাহাড় ধসের আশংকায় ঝুকিপূর্ন স্থানে বসকারীদের নিরাপদ স্থানে চলে যেতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে।
জানা যায়, ভারী বর্ষনের কারণে গতকাল দুপুরের দিকে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের ঘাগড়া এলাকায় দুটি স্থানে উপরের পাহাড়ের মাটির স্তুপ ধসে রাস্তায় উপর পড়ে যায়। এতে ওই রুটে ভারী যানবাহন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ভারী বর্ষন অব্যাহত থাকলে পাহাড় ধসের আশংকা রয়েছে।
রাঙামাটির সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এমদাদ হোসেন জানান, ঘটনার পর সড়ক ও জনপথ বিভাগ ধসে পড়া মাটির স্তুুপ সরানোর জন্য কাজ চালাচ্ছে।
রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) আবু শাহেদ চৌধুরী জানান,বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসের ঘটনায় ক্ষতিক্ষতি এড়াতে যারা ঝুকিপূর্ন অবস্থায় বসবাস করছে তাদেরকে আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গেল ১৩ জুন ভারী বর্ষনে পাহাড় ধসে রাঙামাটি সদর,জুরাছড়ি,কাপ্তাই,কাউখালী ও বিলাইছড়ি এলাকায় দুই সেনা কর্মকর্তা ও তিন সেনা সদস্যসহ ১২০ জনের মৃত্যূ হয়। রাঙামাটি শহরের ৬টি আশ্রয় কেন্দ্রে বর্তমানে পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্থ ১৩৯৬ জন নারী-পুরুষ ও শিশু আশ্রয়ে রয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.