পাহাড়ী ঢলে সৃষ্ট বন্যায় লামায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সোমবার দুপুর থেকে মুসুলধারে বৃষ্টি হওয়ায় কারনে মাতামূহুরী নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে এলাকায় পানি বাড়তে থাকে। ফলে প্রায় ১ হাজার বাড়ী ঘর ও দুটি বিদ্যালয় পানিতে ডুবে যায়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুটি আশ্রয়ন কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
লামা- আলীকদম সড়ক বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সকাল থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং শতাধিক বাড়ী ঘর ডুবে যায় বলে জানিয়েছেন লামা পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ ইউসুফ আলী।
এ ছাড়া দুপুর থেকে লামা- রূপসী পাড়া সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। এ সড়কের তাল তলা ও ফরাজী ঝিরি নামক স্থানের সড়কের বিশাল অংশ ডুবে যাওয়ায় গাড়ী যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন রূপসী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান চাচিংপ্রু মার্মা। তিনি আরো বলেন, ২শতাধিক বাড়ী ঘর পানিতে তলীয়ে গেছে।
লামা বাজার সংলগ্ন পৌর এলাকার ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হোসেন বাদশা বলেন, বন্যায় প্রতিবারই নয়াপাড়া এলাকা বেশি ক্ষতি গ্রস্ত হয়। এখন প্রায় ৩ শত বাড়ী পানিতে ডুবে গেছে।
দুপুর থেকে লামায় মুসুলধারে বৃষ্টিতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লামা বাজারের একাংশ, উপজেলা প্রশাসনের আবাসি বাসা, নির্বাহী কর্মকর্তার বাস ভবন,বাসষ্ট্যাশান, নয়াপাড়, টিএন্ডটি পাড়াসহ অনেক এলাকা সহ অনেক এলাকা ডুবে যায়।
এব্যাপারে লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খিন ওয়ান নু প্রথম আলোকে বলেন, পাহাড়ী ঢলে সৃষ্ট বন্যায় প্রায় ১ হাজার পরিবার পানিতে ডুবে আছে। আপাতত গার্লস হাই স্কুল, ও লামা ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় আশ্রয়ন কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তবে লামার সাথে আলীকদম উপজেলা ও রূপসীপাড়া ইউনিয়নের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.