রাঙামাটিতে পাহাড় ধ্বসের ঘটনায় শহরের বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিত মাঝে রোববার ঈদের নতুন কাপড় বিতরণ করেছে জেলা প্রশাসন, সেনা বাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থা। এছাড়া আশ্রিতদের ত্রাণ সাহায্য অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৯ টি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিত পরিবারের সকল সদস্যের মাঝে নতুন কাপড় বিতরণ করেছে। সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান আশ্রিত সকলের হাতে নতুন কাপড় তুলে দেন।
অপরদিকে, রাঙামাটি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সেনাবাহিনী পরিচালনাধীন ৭ টি আশ্রয় কেন্দ্রে সকল আশ্রীতদের মাঝে নতুন বস্ত্র বিতরণ করেছে। রোববার সকালে রাঙামাটি সরকারী কলেজে রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম ফারুক ও তার পত্নী বাংলাদেশ বেতার রাঙামাটি কেন্দ্রে আশ্রিতদের মাঝে নতুন বস্ত্র বিতরণ করেন।
অপরদিকে স্থানীয় এনজিও সংস্থা গ্রীন হিল রাঙামাটির প্রতিটি আশ্রয় মহিলাদের সামগ্রী বিতরণ করেছে। এসময় গ্রীনহীলের চেয়ারপার্সন টুকু তালুকদার,গ্রীনহীলের নির্বাহী পরিচালক মংথোয়াই সিং মারমা, গ্রীনহীলের প্রকল্প ব্যবস্থাপক লালসোয়াক লিয়ানা পাংখোয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া শনিবার বিকালে প্রথম বারের মতো রাঙামাটি পৌর এলাকার উলুছড়ি ও কাটা পাহাড় এলাকার উপজাতীয় দুর্গতরা ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এতে সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান সেখানে আশ্রিত ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ত্রাণ সমাগ্রী বিতরণ করেন।
উল্লেখ্য, গেল ১৩ জুন ভারী বর্ষনের ফলে পাহাড় ধসে রাঙামাটি শহরের ভেদভেদীর যুব উন্নয়ন বোর্ড এলাকা,মুসলিম পাড়া.শিমুলতলী এলাকা,সাপছড়ি,মগবান,বালুখালী এলাকায় এবং জুরাছড়ি,কাপ্তাই,কাউখালী ও বিলাইছড়ি এলাকায় ৫ সেনা সদস্যসহ ১২০ জনের মৃত্যূ হয়। রাঙামাটি শহরে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য ১৯টি আশ্রয় শিবির খোলা হয়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.