৮দিন বিচ্ছিন্ন থাকার পর বুধবার রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে হালকা যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হতে পারে

Published: 19 Jun 2017   Monday   

রাঙামাটিতে পাহাড় ধসের ঘটনায় দীর্ঘ ৮দিন বিচ্ছিন্ন থাকার পর বুধবার রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে হালকা যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হচ্ছে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। 

 

জানা গেছে,গত ১৩ জুন রাঙামাটিতে টানা ভারী বর্ষনে শহরের ভেদভেদীর যুব উন্নয়ন বোর্ড এলাকা,মুসলিম পাড়া.শিমুলতলী এলাকা,সাপছড়ি,মগবান,বালুখালী এলাকায় এবং জুরাছড়ি,কাপ্তাই,কাউখালী ও বিলাইছড়ি এলাকায় ৫ সেনা সদস্যসহ ১১৮ জন মারা যান। এতে কয়েক শত ঘরবাড়ী এবং রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়ক বিধস্ত হয়ে পড়ে। সারাদেশের সাথে সড়ক যোগযোগ বিচ্ছিন্ন থাকে। তবে লোকজনের যাতায়াতের জন্য বিকল্প হিসেবে কাপ্তাইয়ে নৌপথে লঞ্চ চলাচল ব্যবস্থা চালু করে স্থানীয় প্রশাসন।
এদিকে পাহাড় ধসের কারণে রাঙামাটির শাল বাগান এলাকায় দেড়শ ফুট জুড়ে মাটি ধসে পড়ে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। দীর্ঘ আট দিন ধরে সেনা বাহিনীর ইঞ্জিয়ারিং কোর এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মীরা ওই স্থানের সড়কের দুই পাশে মাটি ভরাটসহ ইটের খোয়া ফেলার সমাপ্ত করেছেন মঙ্গলবার সন্ধ্যার আগেই।


অপরদিকে, পাহাড় ধসের ঘটনায় রাঙামাটি সদরসহ ৫টি উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্থ লোকজনদের ও ঘরবাড়ি সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির তালিকা এখনো সম্পন্ন হয়নি। এখনো তালিকা তৈরীর কাজ অব্যাহত রয়েছে। তবে আগামী দুএকদিনের তালিকা সম্পন্ন হবে বলে জানিয়ে প্রশাসন। রাঙামাটি সদর উপজেলায় ১৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিত ক্ষতিগ্রস্থদের খাবার বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের সহকারী উপ-প্রকৌশলী আবু মুছা জানান, ভারী বৃষ্টিপাত না হলে আজ বুধবার সকালে ইটের বিছানোর পর পরই হালকা যানবাহন চলাচলের জন্য সড়কটি খুলে দেয়া হতে পারে। তবে ভারী যানবাহন চলাচলের উপযোগী করতে আজ বুধবার সড়ক মন্ত্রনালয়ের সচিব ও সড়ক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সমম্মিলিত আলাপ আলোচনার মাধ্যমে বাস্তবতার নিরিখে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।


জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সম্পর্কে রাঙামাটি সিভিল সার্জন ও জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ শহিদ তালুকদার জানান, গেল ১৩ জুন থেকে অদ্যাবধি হাসপাতালে আনীত লাশের ময়না তদন্ত ও ভর্তিকৃত ৬৮জন রোগীর মধ্যে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। এর ,মধ্যে কয়েক জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে উন্নতর চিকিৎসার জন্য পাঠেেনা হয়েছে। এবং অনেকেই চিকিৎসা গ্রহন শেষে সুষ্ঠ অবস্থায় বাড়ী ফিওে গেলেও হাসপাতালে আরও ৩৬জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অতি ৃবষ্টির কারণে দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য ৬ জন চিকিসক ও ১১জন সহকারী চিকিৎসকের একটি দল আজ চট্টগ্রাম থেকে রাঙামাটিতে পৌছাবে।


এদিকে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান এক প্রেস ব্রিফিং বলেছেন,বৃষ্টিপাতে পাহাড় ধসের কারণে ইতোমধ্যে সমগ্র জেলায় মৃত ১১৮ জনদের আত্বীয় স্বজন জনপ্রতি নগদ ৩০ হাজার টাকা, ত্রিশ কেজি চাউল বিতরণ করা হয়েছে। ১৯টি আশ্রিত কেন্দ্রে ৫শতাধিক শিশু রয়েছে। তাদের শিশুতোষ জামা কাপড় বিতরনের জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।


তিনি আরো বলেন, এ ঘটনার জন্য আরো এক কোটি টাকা,দুই’শ মেঃটন চাউল, ৫,শত কম্বলের চাহিদা ত্রাণ মন্ত্রনালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া আশ্রয় কেন্দ্রেগুলোতে স্যানিটেশন নিশ্চিত করার জন্য ৯০টি ভ্রাম্যমান ল্যাটট্রিন চট্টগ্রাম থেকে নিয়ে এসে বিভিন্ন কেন্দ্রে ইতোমধ্যে স্থাপন করা হয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত