খাগড়াছড়িতে টানা বর্ষণে নিম্নাঞ্চলসহ কয়েকটি গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়েছে।
সোমবার ভোর থেকে টানা বর্ষণে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের মুসলিমপাড়া, গঞ্জপাড়া, মেহেদীবাগ, মিলনপুর, সাতভাইয়া পাড়া মুখ, খবং পুড়িয়া, শান্তিনগর, অর্পণা চৌধুরী পাড়া, কালাডেবাসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে করে সহস্রাধিক পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়েছেন। পানিবন্দী মানুষেরা শিশু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মুসসিলমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ৩ নং গোলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়সহ আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। বন্যার পাশাপাশি টানা বর্ষণের ফলে খাগড়াছড়ি জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় পাহাড় ধসের শঙ্কা রয়েছে।
পাহাড়ী ঢল নামতে শুরু করায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। খাগড়াছড়ি শহরের চেঙ্গী নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় আশপাশের গ্রাম ও গ্রামীণ সড়ক পানির নিচে গেছে।
খাগড়াছড়ি পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি প্রদীপ চৌধুরী বলেন, অতীতে কখনো খাগড়াছড়িতে একদিনের বৃষ্টিতে বন্যা হওয়ার নজির নেই। সম্প্রতি সময়ে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন খাল, ছড়া ও জলাশয় দখল হয়ে এবং অবাধে পাহাড় কাঠার কারনে কয়েক ঘন্টার বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা ও বন্যা হচ্ছে। এর মাধ্যমে প্রকৃতি আমাদের সর্তক সংকেত দিচ্ছে বড় ধরণের বিপর্যয়ের। দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এটিএম কাউছার হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এলিশ শরমীনসহ ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের একটি টীম বিকেল জুড়ে শহরের বন্যা প্রবণ এলাকাসমূহ পরিদর্শন করেছেন।
জেলা প্রশাসক মো: রাশেদুল ইসলাম জানান, বন্যা দূর্গত যারা বিভিন্ন বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন তাদের শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানিসহ প্রয়োজনীয় ত্রাণ সরবরাহ করা হবে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় পাহাড় ধস ও বন্যার শঙ্কা থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের সরিয়ে নিতে প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিঅার.