কাপ্তাইয়ে কিশোরীকে হত্যা ও নানিয়ারচরে আদিবাসী গ্রামে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে জেএসএস

Published: 16 Dec 2014   Tuesday   

রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে আতুমা মারমা ছবি নামে এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা এবং নানিয়ারচরের বগাছড়িতে জুম্ম গ্রামে সেটেলার বাঙালি কর্তৃক সাম্প্রদায়িক হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি(জেএসএস) নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। মঙ্গলবার পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রচার বিভাগের সহ-সম্পাদক সজীব চাকমার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়,সোমবার কাপ্তাই উপজেলার কাপ্তাই ইউনিয়নে সন্দেহভাজন সেটেলার বাঙালি দুর্বৃত্ত কর্তৃক আতুমা মারমা ছবি (১৫) নামে এক জুম্ম কিশোরীকে নৃসংশভাবে হত্যা করা হয়। আতুমা মারমাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। আতুমা এ বছর চিৎমরম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জেএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল। উক্ত ঘটনায় পুলিশ সন্দেহভাজন স্থানীয় তিন বাঙালিকে আটক করে কাপ্তাই থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও গ্রেফতার দেখানো হয়নি। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বুধবার বিজয় দিবসের দিনে জেলার নানিয়ারচর উপজেলাধীন ৩নং বুড়িঘাট ইউনিয়নের বগাছড়ি এলাকায় ইসলামপুর, বগাছড়ি ইত্যাদি সেটেলার পাড়ার সেটেলার বাঙালিরা কতিপয় সেনাসদস্যের ছত্রছায়ায় ৩টি জুম্ম গ্রাম যথাক্রমে ছুরিদাসপাড়া, নবীণ কার্বারী পাড়া ও বগাছড়িতে হামলা চালিয়ে ৫০ বাড়ি ও ৭টি দোকান পুড়িয়ে দিয়েছে এবং এক বৌদ্ধ ভিক্ষু ও দুইজন জুম্মকে নির্যাতনসহ একটি বৌদ্ধ বিহারে বুদ্ধমূর্তি ভাঙচুর চালিয়েছে ও ৫টি পিতলের বুদ্ধমূর্তি লুট করে নিয়ে গেছে। বিবৃতিতে দাবি করা হয়, ইতোপূর্বে স্থানীয় নিশি কুমার চাকমার জায়গা জবরদখল করে কতিপয় সেটেলার বাঙালি উক্ত জায়গায় আনারসের চারা রোপণ করে। সোমবার রাত্রে ইউপিডিএফের সন্ত্রাসীরা উক্ত চারাগুলো কেটে দেয়। ভোরে এ নিয়ে সেটেলারদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে ৬৫ ব্যাটালিয়নের নানিয়ারচর সেনা জোনের কম্যান্ডার লে. কর্ণেল মো: সোহেল ও টুআইসি মেজর রাকিবের নেতৃত্বে একদল সেনাসদস্যও সেখানে যায়। এক পর্যায়ে উত্তেজিত সেটেলার বাঙালিরা দলে দলে পার্শ্ববর্তী ছুরিদাসপাড়া, নবীণ কার্বারী পাড়া ও বগাছড়ি প্রভৃতি জুম্ম গ্রামে হামলা শুরু করে। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, সেনাসদস্যদের উপস্থিতিতে সেটেলার বাঙালিরা প্রথমে চৌদ্দমেল এলাকার আনন্দ বাজারের ৭টি জুম্ম দোকান পেট্রোল দিয়ে অগ্নিসংযোগ করে জ্বালিয়ে দেয়। এছাড়া সেনাসদস্যদের বেদম প্রহারের শিকার হয় বুড়িঘাট ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার আনন্দ চাকমা ও রামহরি পাড়ার বাসিন্দা আলোময় চাকমা। সংগঠনের পক্ষ থেকে উক্ত ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতিতে অবিলম্বে নিরপেক্ষ তদন্তপূর্বক উক্ত ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে। পাশাপাশি জরুরি ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারবর্গের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানানো হয়েছে।
–হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত