রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল ভবনের ফাটলের ২০ দিন অতিবাহিত হলেও ঝুঁকিপূর্ন এ ভবনের বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে হাসপাতালের মহিলা ও শিশু রোগীদের চিকিৎসা নিতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এদিকে, রোগীদের অভিযোগ রাঙামাটি জেলা পরিষদ হাসপাতালে তৃতীয় তলায় অপরিকল্পিতভাবে ভবন নির্মাণ করায় এ ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে
জানা যায়, গেল ২৫ জানুয়ারী রাঙামাটি জেলার একমাত্র ১শ শষ্যার জেনারেল হাসপাতালের ভবনের এক অংশের মহিলা ও শিশু ওয়ার্ডে ফাটল দেখা দেয়। এতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী ও আত্বীয়-স্বজনরা আতংকিত হয়ে পড়েন। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে মহিলা ও শিশু ওয়ার্ডে থাকা ৫০ রোগীকে পুরুষ ওয়ার্ডে স্থানান্তর করে। পরবর্তীতে মহিলা ও শিশু ওয়র্ডে থাকা ৫০ রোগীকে হাসপাতাল ভবনের পাশে এক তলা বিশিষ্ট ভবনে স্থানান্তর করে। বর্তমানে সেখানে মেঝেতে গাদাগাদি করে রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এতে করে দুরদুরান্ত থেকে আসা মহিলা ও শিশু রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া চিকিৎসক ও নার্সদের চিকিৎসা সেবা দিতে ব্যাহত হচ্ছে।
এদিকে, হাসপাতাল ভবনের ফাটলের ২০ দিনে পার হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় ঝুঁিকপূর্ন ভবনের সমস্যা সমাধানে কোন আশু পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না বলে মনে করছেন সচেতন মহল। তাদের মতে, রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল ভবন ঝুকিঁপূর্ন চিহিৃত করে অতিদ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে রোগীদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করবে। তবে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ গেল ২ফেব্রুয়ারী একটি তদন্ত কমিটি গঠন করলেও কমিটি ১৫দিন পার হলেও তাদের কোন কর্মকান্ড চোখে পড়েনি। এ নিয়ে রোগীরা যেমন চরম দুর্ভোগ পৌহাতে হচ্ছে তেমনি সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভ দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা(আরমএও) ডা: মংক্যাচিং সাগর জানান, জেলা পরিষদ এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার কথা শুনেছি।
এ ব্যাপারে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা জানান, একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবে। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেলে একটি বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.