জুরাছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেছেন, দুর্গম পাহাড়ী এলাকা গুলো কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, যোগাযোগ ও ব্যবস্থায় এখনো পিছিয়ে রয়েছে। এসব দুর্গম পাহাড়ী এলাকার উন্নয়নে সকলকে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে হবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষিসহ বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী সংশ্লিষ্ট্য সরকারী-বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থাদের যথাযথভাবে সেবা প্রদানে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি জনগনের দোরগরায় সরকারি সেবা নিশ্চিত করার লক্ষে ভবিষ্যতে প্রকল্প গুলো যথাযথ ভাবে বাস্তবানের আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রকল্পের অনিয়ম প্রমানিত হলে তাৎক্ষনিক সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বলে ইঙ্গিত করেন।
গেল ৯ ফেব্রুয়ারী থেকে ১১ ফেব্রুয়ারী জুরাছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্ত্তী দুমদুম্যা ইউনিয়নের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
উল্লেখ্য, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে এই প্রথম জুরাছড়ি উপজেলার কোন ইউএনও`র দুর্গম এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করলেন।
জানা যায়, মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী জুরাছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করার পর গেল ৯ ফেব্রুয়ারী থেকে ১১ ফেব্রুয়ারী জুরাছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্ত্তী দুমদুম্যা ইউনিয়নের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এসময় উপজেলার উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ছাড়াও দুমদুম্যা ইউপি চেয়ারম্যান শান্তি রাজ চাকমা, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী প্রচারক চাকমা, প্রানী সম্পদ বিভাগের প্রতিনিধি প্রতিবিন্দু চাকমা,একটি বাড়ী একটি খামার ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপক সত্য প্রিয় চাকমা, উপজেলা নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি মঙ্গল কুমার চাকমা, পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ডের সমন্বনিত সমাজ উন্নয়ন প্রকল্পের পিও পূর্ন মঙ্গল চাকমা, গ্রীন হিল স্প্রীড প্রকল্পের প্রতিনিধি অরবিন্দু চাকমা, ব্র্যাক উপজেলা ব্যবস্থাপক বিরো চাকমাসহ স্থানীয় সাংবাদিক ও হেডম্যান, কার্ব্বারী, সংরক্ষিত-সাধারণ জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শনকালে সমাজ সেবা অধিদপ্তরের রোগী কল্যান সমিতি উদ্যোগে রোগীদের মাঝে অনুদান, সুবর্ণ নাগরিক-দের পরিচয়পত্র, দু:স্থ্ ও বৃদ্ধদের মাঝে কম্বল, ব্র্যাক কর্তৃক কিটনাশক যুক্ত মশারী প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এছাড়া পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ডের সমন্বনিত সমাজ উন্নয়ন প্রকল্পের পাড়া কেন্দ্র, বগাখালী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সরকারী ও বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরির্দশন করেন।
দুমদুম্যা মৌজার প্রবীন হেডম্যান সমুর পাংখোয় বলেন, ৩২ বছর পূর্বে উপজেলা গঠিত হলেও কোন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দুমুদম্যা ইউনিয়নে এ অংশে আগমন করেননি। এই প্রথম দূর্গম পাহাড়ী পথে দুদিন হাটার পর প্রথমবারের মতো ইউএনও আসাতে তিনি ধন্যবান জ্ঞাপন করেন।
তিনি আরো বলেন, উচু নিচু পাহাড় বেয়ে দুমদুম্যা ইউনিয়নে ইউএনও’র আগামনে নতুনভাবে উন্নয়নের আশার বুক বাঁধছে এলাকাবাসীর। এবার বুঝি এলাকায় উন্নয়নের সূর্য উদয় হবে।
-হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.