সোমবার রাঙামাটির বরকল উপজেলার আইন-শৃঃঙ্খলা সভা বর্জন করেছেন ৪ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানরা।
সভায় ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মামুন আইন অনুযায়ী চেয়ারম্যান হয়েছেন কিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে কোন সুদত্তর না পাওয়ায় তারা এই আইন-শৃঃঙ্খলা সভা বর্জন করেছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
জানা যায়, সোমবার রাঙামাটির বরকল উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমনী আক্তারের সভাপতিত্বে আইন-শৃঃঙ্খলা সভা শুরু হওয়ার কথা ছিল। এসময় উপজেলার ৪নং ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মামুনের বৈধতা নিয়ে আইন-শৃঃঙ্খলা সভায় অন্য চেয়ারম্যানরা প্রশ্ন তুললে হট্টগোল শুরু হয়।
এক পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা আইন শৃঃঙ্খলা সভায় অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমনী আক্তারের কাছে মামুনুর রশিদ মামুন আইন অনুযায়ী চেয়ারম্যান হয়েছেন কিনা জানতে চাইলে কোন সুদত্তর না পাওয়ায় সভা বর্জন করেন ৪ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানরা।
১নং সুবলং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তরুন জ্যোতি চাকমা, ২নং বরকল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কমলেন্দু বিকাশ চাকমা, ৩নং আইমাছড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অমর কুমার চাকমা ও ৫নং বড় হরিণা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নিলাময় চাকমা জানান, ইউনয়ন পরিষদ আইন অনুযায়ী শপথ নেয়ার পর প্রথম সভা করে কার্যক্রম শুরু করতে হবে এবং পরিষদের দিন গননা শুরু হবে। মামুনুর রশিদ মামুন শপথ নিয়েছে কিন্তু পরিষদের নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে প্রথম সভা করেননি।
তারা আরো বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ আইন ২০০৯ এর ২৯নং ধারার (৪) উপধারায় উল্লেখ রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ শেষে নির্বাচনের পর উহার তিন- চর্তুথাংশ সদস্য শপথ গ্রহন করিলে ইউনিয়ন পরিষদটি যথাযথভাবে গঠিত হইয়াছে বলিয়া গন্য হবে। কিন্তু ওই ইউনিয়নের মেম্বার ও সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার ৭জন শপথ গ্রহন করেনি। আইন অনুযায়ী ওই ইউনিয়ন পরিষদটি পুর্ণাঙ্গ পরিষদে পরিণত হয়নি। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মামুন আইন অনুযায়ী অবৈধ।
চেয়ারম্যানরা বলেন, মামুনুর রশিদ মামুন আমাদের শত্রু নয়। তাকে সহযোগিতা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। তবে আইন অনুযায়ী বৈধ ভাবে দায়িত্ব গ্রহন করলে আমরা সহযোগিতা করবো।
এ ব্যাপারে ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মামুন জানান, আমি জনগনের ভোটে নির্বাচিত বৈধ চেয়ারম্যান। আমি গেল ১২ ডিসেম্বর শপথ নিয়েছি। বর্তমানে আমি ইউনিয়নের বৈধ চেয়ারম্যান। তবে বাকী চেয়ারম্যানরা প্রতিহিংসার বশিভূত হয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আমি এলাকায় উন্নয়ন মূলক কাজ করতে চাই। পাহাড়ী-বাঙ্গালীর মধ্যে সামম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে চাই।
অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমনী আক্তার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা আইন শৃঃঙ্খলা সভা বর্জন করার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.