ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এর মানবাধিকার পরিবীক্ষণ সেল ২০১৬ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম মানবাধিকার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।
২০১৬ সালেই ইউপিডিএফের কমপক্ষে ৭৩ জন নেতা-কর্মী ও সমর্থক গ্রেফতার,২১ জন পাহাড়ি নারী ও শিশু ধর্ষণ, ধর্ষণ প্রচেষ্টা অথবা অপহরণের শিকার হয়েছেন এবং ৯টি হামলার শিকার হয়েছে রিপোর্টে দাবী করা হয়েছে।
বুধবার ইউপিডিএফের মানবাধিকার পরীবিক্ষণ সেলের সদস্য দ্বিতীয়া চাকমার স্বাক্ষরিত বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বার্তায় বলা হয়, জনগণের গণতান্ত্রিক ও মৌলিক মানবাধিকার নির্বাসিত। বেআইনী আটক, গ্রেফতার, শারীরিক নির্যাতন, গ্রামে গ্রামে হানা ও বাড়ি ঘরে তল্লাশী, হয়রানি, মিথ্যা মামলা, সভা সমাবেশে বাধা দান, হামলা, নারী ধর্ষণ, ভূমি বেদখল,সাম্প্রদায়িক হামলা ইত্যাদি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা অহরহ ঘটে চলেছে।
প্রেস বার্তায় দাবী করা হয়, যেখানে ১৯৪৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি বাঙালির অনুপাত ৯৮ : ২, বর্তমানে তা ৫২:৪৮ এ দাঁড়িয়েছে। তবে পার্বত্য চুক্তির পর গেল ১৯ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রামে শহরাঞ্চলে এবং বিশেষত জেলার পৌর সভাগুলোতে জনমিতির ভারসাম্য মৌলিকভাবে বদলে গেছে। উদহারণ স্বরূপ খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি পৌরসভায় চুক্তির পূর্বে পাহাড়িরা ছিল সংখ্যাগরিষ্ঠ। বর্তমানে এই দুই পৌরসভায় দুই তৃতীয়াংশ ভোটার হলেন বাঙালি। বান্দরবান পৌর সভায় এই অনুপাত আরও বেশী, সেখানে প্রায় পাঁচ ভাগের চার ভাগই বাঙালি। এই অনুপাতগুলো যে কোন জাতির জনগণকে নিজের অস্তিত্ব সম্পর্কে শঙ্কিত না করে পারে না।
প্রেস বার্তায় অভিযোগ করে আরো বলা হয়,সরকার মুখে পাহাড়ি জনগণের অধিকারের কথা বললেও বাস্তবে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানবাধিকার পরিস্থিতি ব্যাপারে যথেষ্ট উদাসীন। মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কখনও কোনব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে আজ পর্যন্ত শোনা যায়নি। গেল ২০ বছরেও কল্পনা চাকমার অপহরণকারীদের বিচার ও শাস্তি হয়নি। মানবাধিকার লঙ্ঘন অব্যাহত থাকার এটাও অন্যতম কারণ।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.