বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তী বলেছেন, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে শত কোটি টাকা ব্যায়ে খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দর নির্মাণের কাজ চলতি বছরের শেষ দিকে শুরু হবে। ফেনী নদীর উপর মৈত্রীর সেতুর ব্যায় বহন করতে ভারত।
সোমবার খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে খাগড়াছড়ি জেলার সীমান্ত শহর রামগড়ে প্রস্তাবিত স্থলবন্দর উন্নয়ন বিষয়ে গণ পরামর্শ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো জানান, রামগড় স্থলবন্দর হবে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ২৩তম স্থলবন্দর। ইতিমধ্যে স্থলবন্দর নির্মানের জন্য রামগড়ের মহামনি এলাকায় ১০ একর জমি অধিগ্রহনের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত প্রকল্প পরিকল্পনা কমিশনের পাঠানো হয়েছে।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য পরিকল্পনা নুরুল আলম চৌধুরী, বিশ্ব ব্যাংকের বিশেষজ্ঞ নুরুল ইসলাম, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো: হাসান আলী।
সভায় আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য রক্তোৎপল ত্রিপুরা, রামগড় উপজেলা চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ফরহাদ ও জেলা পরিষদ মংশেপ্রু চৌধুরী অপুসহ জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ, ২০১৫ সালের ৬ জুন ঢাকা সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা এক আনুষ্ঠানিকভাবে খাগড়াছড়ি জেলার সীমান্ত রামগড়ের ফেনী নদীর উপর রামগড়-সাব্রুম মৈত্র সেতু ১-এর ভিত্তি প্রস্তর প্রতিস্থাপন করেন।
ইতিমধ্যে বাংলাদেশের রামগড় ও ভারতের সাব্রুম স্থলবন্দর কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষে ভারতীয় অর্থায়নে ফেনী নদীর উপর ৪১২ মিটার দৈর্ঘ্যর মৈত্রী সেতু ১ এর নির্মাণ কাজসহ বালাদেশ অংশে অ্যাপ্রোচ সড়কের এলাইনম্যান নির্ধারন করা হয়েছে। ১৫০ মিটার মৈত্রী সেতুর কাজ চলতি মাসেই শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.