ছয় দফা দাবীতে মঙ্গলবার খাগড়াছড়িতে জেলা গ্রাম পুলিশ কর্মচারী ইউনিয়নের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৫০ মাস ধরে বেতন বকেয়ার অভিযোগ করেছেন নেতৃবৃন্দ।
খাগড়াছড়ি টাউন হলে অনুষ্ঠিত সন্মেলনে খাগড়াছড়ি জেলা গ্রাম পুলিশ কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি প্রবীন চাকমার সভাপতিত্বে প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী শাহাজান কবির জহির, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দীঘিনালা উপজেলা ভাইস- চেয়ারম্যান সুসময় চাকমা এবং কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম ভূইয়া। সভা সঞ্চালনা করে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সত্য নারায়ন দাশ। সভায় প্রত্যেক উপজেলার দফাদাররা বক্তব্য রাখেন। সভায় জলার ৯ উপজেলার গ্রাম পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। খাগড়াছড়িতে ৩৬০ জন গ্রাম পুরিশের সদস্য কর্মরত রয়েছেন।
সন্মেলন শেষে ছয় দফা দাবী নিয়ে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের নিকট একটি স্বারকলিপি পেশ করেন।
বক্তারা বলেন অন্যান্য বাহিনীর ন্যায় গ্রাম পুলিশ ও একটি বাহিনী তাদের তৃন মূল পর্যায়ের নিরাপত্তার পাশাপাশি বিভিন্ন কাজ করতে হয়। কিন্তু তারা অবহেলিত। পার্বত্য এলাকার গ্রাম পুলিশরা তিন হাজার টাকা ভাতা পান। তার মধ্যে সরকার থেকে শতকরা ৫০ ভাগ আরর ইউনিয়ন থেকে শতকরা ৫০ ভাগ ভাতা পান। কিন্তু ইউনিয়নের অংশ এখনো ৫০ মাসের বকেয়া রয়েছে। সন্মেলনে বক্তারা আগামী ২৮ জানুয়ারী মধ্যে দাবী মানা না হলে ২৯ জানুয়ারী থেকে কর্ম বিরতিসহ বিভিন্ন আন্দোলনের হুমকি দেন।
৬ দফা দাবীগুলো হল, গ্রাম পুলিশের বেতন স্কেল প্রদান,.চাকরী শেষে বেতনের সম পরিমান ৫০ মাসের গ্র্যাইচুটি প্রদান, গ্রাম পুলিশের জন্য একটি তহবিল গঠন ও ন্যুনতম ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ, যোগ্য ও দক্ষ বাহিনী গড়ে তোলার জন্য অন্যান্য বাহিনীর ন্যায় ঢাকার আশে পাশে একটি প্রশিক্ষণ একাডেমি হেড কোয়াটার স্থাপনের ব্যবস্থা করা, গ্রাম পুলিশদের জন্য পুলিশ ও বিজিবির ন্যায় রেশনিং ব্যবস্থা করা ও পার্বত্য জেলায় গ্রাম পুলিশদের বকেয়া ৫০ মাসের বেতন প্রদান করা।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.