মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শুক্রবার রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যবর্গের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ ফিরোজা বেগম চিনু। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমার সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে রাঙামাটি বিজিবি সেক্টর কমান্ডার আশরাফুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মোঃ মানজারুর মান্নান, পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা কমান্ডার রবার্ট রোনাল্ড পিন্টু, সদর উপজেলা কমান্ডার মিজানুর রহমান রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ত্রিদীপ কান্তি দাশ, জেবুন্নেসা রহিম, সান্তনা চাকমা, রেমলিয়ানা পাংখোয়া, জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য দেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ মুখ্য নির্বঅহী কর্মকর্তা এস এম জাকির হোসেন।
সংবর্ধনা শেষে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ এর পক্ষ থেকে রাঙামাটির ৬জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে ২হাজার ৫শত টাকা করে এবং ৯৩জন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ১হাজার টাকা করে সম্মানী প্রদান করা হয়।
প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফিরোজা বেগম চিনু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে মনে ধারন করে দেশকে এগিয়ে নিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানানা। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারাই দেশের অগ্রগামী। আপনাদের পথ ধরেই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল দেশকে একটি সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়তে। কিন্তু দেশ বিরোধী একটি কুচক্রী মহল তার সেই স্বপ্ন যাতে বাস্তবায় না হয় সে জন্য তাকে ও তার পরিবারকে হত্যা করেছিল। আজ তার সুযোগ্য কণ্যা ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে পরিশ্রম করে যাচ্ছে। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
জেলা প্রশাসক মোঃ মানজারুর মান্নান বলেন, এক একজন মুক্তিযোদ্ধা আমাদের জন্য এক একটি পতাকা, এক একটি দেশ। এদের ঋণ আমরা কোন দিনই শোধ করতে পারবো না। যতদিন লাল সবুজের পতাকা নামে বাংলাদেশ নামে কোন দেশ থাকবে ততদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম স্বর্ণক্ষরে লেখা থাকবে।
সভাপতির বক্তব্যে পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে ও দেশ স্বাধীনের পর দেশ বিরোধী কুচক্রী মহলটি একটি দেশ ধবংস করার পায়তারা করছে। তিনি বলেন, জাতির পিতার সুযোগ্য কণ্যা দেশের উন্নয়নে কাজ করছে। কিন্তু এই কুচক্রী মহলটি পদে পদে বাধা সৃষ্টি করছে। এদের বিরুদ্ধে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, চাকুরি ক্ষেত্রে কৌটা ও বিভিন্ন উন্নয়ণমূলক কাজ করছে। যা কোন সরকার করে নাই। সরকারের রূপকল্প ২০৪১ কে বাস্তবায়ন ও দেশের উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতাকে অব্যহৃত রাখতে তিনি সকলকে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.