নির্মাণাধীন সোয়া ৫ কোটি টাকার ব্রিজ কাজ শেষ না হতেই ডেবে গেল!

Published: 15 Dec 2016   Thursday   

ব্যাপক অনিয়মের মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে ৫ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা ব্যায়ে লামা উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়নের লামা খালের উপর নির্মিত গার্ডার ব্রিজটি উদ্বোধনের আগেই ডেবে গেছে।

 

কার্যাদেশ প্রদানের ৩ বছরেও শেষ হয়নি ব্রিজের কাজ। নির্মাণাধীন ব্রিজের কাজের নানান অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। ফাইলিং পিলারের সাথে সমন্বয় না রেখে বেইজ ঢালাই দেয়ায় ব্রিজের পূর্ব দিক থেকে ৩য় ও ৪র্থ পিলার দু’টি আংশিক ডেবে গেছে অভিযোগ স্থানীয়দের। ৯০ মিটার এই গার্ডার ব্রিজে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার, স্লাব ঢালাই ও অন্যান্য নির্মাণকাজে অনিয়ম এবং সম্পাদিত নির্মাণকাজের গুণগতমান খুবই নিম্নমানের মর্মে অভিযোগ স্থানীয় জনসাধারণের।

 

একাধিক সূত্রে জানা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে ৫ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা চুক্তি মূল্যে প্রসন্ন কান্তি আমু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নামে মোঃ নুরুল আবচার নামক জনৈক ব্যক্তি ব্রিজের নির্মাণ কাজ করেন। এক বছর সময় দিয়ে ২০১৪ সালের ২২এপ্রিল কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। কার্যাদেশের সময় মোতাবেক নির্মাণ কাজ শুরু না করায় নির্ধারিত সময়ে ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। ঠিকাদারের একাধিক আবেদনে পরবর্তীতে ৩০ জুন ২০১৭ পর্যন্ত সময় বর্ধিত করা হয়। যথাযথ তদারকির অভাব ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে বর্ধিত সময়েও ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ করা সম্ভব হবে না মর্মে স্থানীয়রা আশংকা করছেন।

 

স্থানীয় বাসিন্দা আকবর আলী, রবিউল সিকদার, অংশেপ্রু মার্মা, রহিমা খাতুন ও ওসমান গণিসহ অনেকে অভিযোগে জানিয়েছেন ব্রিজের নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত মালামাল খুবই নিম্নমানের। ব্রিজের ফাইলিং নির্মাণে সিডিউল অনুসরণ করা হয়নি। ঠিকাদার সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীর সাথে আতাত করে নিম্নমানের বালি, ইট, পাথর ও রড ব্যবহার করা হচ্ছে। ব্রিজ নির্মাণে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় উপকরণের অভাব ছিল। দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীদের অনুপস্থিতিতে ব্রিজের নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে।

 

তারা আরো অভিযোগ করে দাবী করেছেন,ফাইলিং পিলারের সাথে সমন্বয় না রেখে বেইজ ঢালাই দেয়া হয়েছে। কাজের বাস্তব অগ্রগতির চেয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে অতিরিক্ত বিল প্রদান করা হয়েছে। গুণগতমান নিশ্চিতের জন্য ল্যাবটেষ্টে প্রদর্শিত নিমাণ সামগ্রীর সাথে ব্রিজের ব্যবহৃত নির্মাণ সামগ্রীর মিল নেই।  

 

অনিয়মের বিষয় নিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল আজিজ জানান,নির্মাণ কাজের অনিয়মের কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

 

এ বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সচিব ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এই বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

 

   

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত