শনিবার জুরাছড়ি উপজেলার মৈদং ইউনিয়নের আর্যচুগ বিমুক্তি বৌদ্ধ বিহারে প্রবজ্যিত শ্রমণ থেকে ভিক্ষুর উপসম্পাদা প্রদানের ঘর( বৌদ্ধ ভাষায় গেয়ং ঘর) স্থাপনকল্পে এক ধর্মীয় সভার আয়োজন করা হয়।
জুরাছড়ি আর্যচুগ বিমুক্তি বৌদ্ধ বিহার প্রাঙ্গনে ধর্মীয় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক পার্বত্য বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার। ধর্ম দেশনা দেন ধুতাংগ দীপংকর মহাস্থবীর। এ সময় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান প্রবর্তক চাকমা, নব যুক্ত আওয়ামীলীগের সদস্য ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রূপ কুমার চাকমা, সাবেক মৈদং ইউপি চেয়ারম্যান বরুন তালুকদার, হেডম্যান সন্তোষ দেওয়ান, রিটেশ চাকমা, মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী মিতা চাকমাসহ দলের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে পার্বত্য বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার বিহারের উন্নয়নকল্পে একটি বিদুৎ উৎপাদন মেশিন ও ভিক্ষু পরিধানের চীবসহ ফলমূল দান করনে।
প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক পার্বত্য বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার বলেন, বৌদ্ধ ধর্ম কারোর উপর নির্ভর করে অরহত্বে নিয়ে যেতে পারে না। নিজের থেকে চেষ্টা করতে হবে, নিজের থেকে অনুশীলন করতে হবে।
ভিক্ষু সংঘ যে উপদেশ প্রদান করেন সেগুলো অনুশীলন করে সবাইকে চলতে হবে। সুতরাং যে ভিক্ষু সংঘ বলেন স্বর্গে নিয়ে যাবে, নির্বাণে নিয়ে যাবে অরহত্বে নিয়ে যাবে, সেটি কতটুকু সত্যে-কতটুকু মিথ্যে এটি পরম পূজনীয় ভিক্ষু সংর্ঘ বলতে পারবেন। আমরা বলতে পারি যে বৌদ্ধ ধর্মটি বিশ্বাসের উপর নয়। বৌদ্ধ ধর্মটি হচ্ছে বুঝার ও অনুশীলন করার।
ধুতাংগ দীপংকর মহাস্থবীর তার ধর্ম দেশনায় বলেন, সত্য ধর্মে প্রতিটি পদে পদে বাধাঁ দেখা দেয় এবং তা সহজে অতিক্রম করা সম্ভব। বৌদ্ধ ধর্মটি সকলের জন্য উন্মুক্ত। একটি বিহারে ভিক্ষু সংঘের কাছে বহু পদস্থ্য লোক আসবে। তবে এ ধর্মকে নিয়ে রাজনীতিতে ব্যবহার করবেন না।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.