রাঙামাটিতে স্থাপিত মেডিকেল কলেজ,বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বান্দরবানে স্থানান্তরের প্রতিবাদে শুক্রবার বান্দরবান জেলা জন সংহতি সমিতি(জেএসএস)।
জনসংহতি সমিতির বান্দরবানজেলা কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা জেএসএসের সহ-সাধারন সম্পাদক নোয়াপতং ইউনিয়ানের চেয়ারম্যান সম্ভু কুমার তংচঙ্গ্যা। সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেএসএস-এর সভাপতি ও পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য সাধুরাম ত্রিপুরা মিল্টন। উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান জেলা বিএনপির সহ সভাপতি রাজপুত্র চহ্লাপ্রু জিমি,জেএসএস কেন্দ্রীয় কমিটির সহ শিক্ষা ও সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক জলিমং মার্মা,পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য রয়েল ডেভিট বম,সিনিয়র সহ সভাপতি জেএসএস চিংহ্লামং চাক,জেএসএস জেলা কমিটির সহ সভাপতি উছোমং মার্মা,সদর থানা জেএসএসএর সভাপতি উচসিং মার্মা প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারী দলের একাংশ ও প্রশাসনের সুবিধাভোগীদের নিয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসন বিতর্কিত রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেল কলেজ বান্দরবানে স্থানান্তরের অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। নেতৃবৃন্দা বলেন গত ১২ জানুয়ারী বান্দরবান জেলা প্রশাসনের আয়োজিত সভায় এ ধরনের প্রস্তাব করা হয়েছে। া সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেন, জেলা প্রশাসক গোপনীয়ভাবে মাত্র কয়েক জনলোককে নিয়ে এধরনের প্রস্তাব গ্রহন করা কোন মতেই জনগনের মতামত হিসেবে গন্য হতে পাওে না। নেতৃবৃন্দ বলেন, তৎকালিন সরকার পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদের সাথে কোন প্রকার আলোচনা ও পরামর্শ না করে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি পরিপন্থি রাঙামাটি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০১ প্রনয়ন করে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন পরবর্তিতে একইভাবে আঞ্চলিক পরিষদ ও সংশ্লিষ্ট পার্বত্য জেলা পরিষদের সাথে কোন রুপ আলোচনা ও পরামর্শ ছাড়াই সরকার রাঙামাটিতে একটি মেডিকেল কলেজ স্থাপনের উদ্বোগ নেয়। একারনে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগন আন্দোলন সংগ্রামে নেমে মানববন্ধন মিছিল সমাবেশ করেছে। মিছিল ও সমাবেশে মেডিকেল কলেজের সকল কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য সরকারের নিকট দাবী জানালেও সরকার অদ্যাবদি কার্যক্রম বন্ধ করে নাই।
নেতৃবৃন্দ বলেন,পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগন অবরোধ কর্মসুচীসহ অন্যন্য কর্মসুচী দিতে বাধ্যহয়। তারা বলেন পার্বত্য বান্দরবানে যে সমস্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু রয়েছে তাও নানা সমস্যায় জর্জরিত। সংবাদ সম্মেলনে তারা এ ধরনের বিতর্কিত পদক্ষেপ বন্দ করার জন্য বান্দরবানের জেলা প্রশাসনসহ সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের কর্মসুচী ঘোষনা করা হবে।
–হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.