শুক্রবার(২ডিসেম্বর) ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ১৯তম বর্ষপূর্তি। ১৯৯৭ সালের ২ডিসেম্বর সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি নামে ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু ১৮ বছর পেরিয়ে ১৯ বছর পর্দাপণ কললেও পার্বত্য চুক্তি অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি আইন সংশোধন করে কমিশনের কাজ শুরু হলেও চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে সরকারের চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ধীরে চলানীতি গ্রহন করায় পার্বত্যবাসীদের মনে নানান সন্দেহ ও হতাশা সৃষ্টি হচ্ছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রকাশিত এক বুকলেটে বলা হয়েছে, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির দীর্ঘ ১৯ বছর অতিক্রান্ত হলেও আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের কার্যাবলী হস্তান্তর ও কার্যকরকরণ; পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম অধ্যুষিত অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণ; ‘অপারেশন উত্তরণ’সহ অস্থায়ী ক্যাম্প প্রত্যাহার; ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তিকরণ, প্রত্যাগত শরণার্থী ও আভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু পুনর্বাসন; পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন ও আঞ্চলিক পরিষদ আইন তথা পার্বত্য চুক্তির সাথে সঙ্গতি বিধানকল্পে পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রযোজ্য অন্যান্য আইন সংশোধন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল চাকরিতে জুম্মদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে স্থায়ী বাসিন্দাদের নিয়োগ ইত্যাদি চুক্তির মৌলিক বিষয়সমূহ এখনো অবাস্তবায়িত অবস্থায় রয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, ১৯ বছরের মধ্যে চারটি রাজনৈতিক সরকার ও দুইটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার- মোট ছয়টি সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলেও কোন সরকারই চুক্তির মৌলিক বিষয়সমূহ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক সদিচ্ছা নিয়ে এগিয়ে আসেনি। এমনকি চুক্তি স্বাক্ষরকারী আওয়ামীলীগ সরকার ২০০৯ সাল থেকে দীর্ঘ ৮ বছর ধরে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকলেও চুক্তির অবাস্তবায়িত মৌলিক বিষয়সমূহ বাস্তবায়নে কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। বর্তমান আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে কতিপয় বিষয় হস্তান্তর, ৩৫টি অস্থায়ী ক্যাম্প প্রত্যাহার, পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, সর্বশেষ পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন সংশোধন ইত্যাদি চুক্তির কতিপয় বিষয় বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হলেও বস্তুত তা ছিল ধারাবাহিকতাহীন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের পক্ষে দেশে-বিদেশে প্রবল জনমতকে সাময়িক প্রশমিত করা এবং দেশে-বিদেশে সস্তা বাহবা অর্জনের লক্ষ্যে হীনরাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সরকার চুক্তি বাস্তবায়নে এসব দায়সারা উদ্যোগ গ্রহণ করে আসছে বলে বিবেচনা করা যায়। সরকারের এসব উদ্যোগে নেই কোন সময়সূচি-ভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা (রোডম্যাপ)। আর তাতে চরমভাবে অনুপস্থিত রয়েছে আন্তরিকতাপূর্ণ রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি।
বুকলেটে বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি মোতাবেক অন্তর্বর্তীকালীন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ গঠিত হলেও আইন অনুসারে এসব পরিষদের কার্যাবলী হস্তান্তর করার ক্ষেত্রে সরকার অব্যাহতভাবে গড়িমসি করে চলেছে। জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত পূর্ণাঙ্গ পরিষদ গঠনের পরিবর্তে দলীয় চেয়ারম্যান-সদস্যদের দিয়ে অন্তর্বর্তী পার্বত্য জেলা পরিষদসমূহ অগণতান্ত্রিকভাবে পরিচালনার উদ্দেশ্যে চুক্তি স্বাক্ষরকারী অন্যতম পক্ষ জনসংহতি সমিতিসহ পার্বত্যবাসীর বিরোধিতা সত্ত্বেও অন্তর্বর্তী পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্যসংখ্যা ৫ থেকে ১৫-তে বৃদ্ধি করার নামে ২০১৪ সালে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন সংশোধন করা হয়।
তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ ও আঞ্চলিক পরিষদকে কার্যত অথর্ব পরিষদে পরিণত করার হীনরাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সরকার এভাবে এসব পরিষদসমূহকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করে চলেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের বিশেষ শাসনব্যবস্থার প্রতিষ্ঠানসমূহকে এভাবে অথর্ব ও নামসর্বস্ব পরিষদে পরিণত করার মধ্য দিয়ে প্রমাণ করে যে, সরকার জুম্ম জনগণসহ পার্বত্যবাসীর রাজনৈতিক, শাসনতান্ত্রিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, ভূমি ও সাংস্কৃতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় চরমভাবে অনাগ্রহী।
প্রকাশিত বুকলেটে দাবী করা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রামকে মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলে পরিণত করার নীলনকশা বাস্তবায়নের হীনউদ্দেশ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন না করে উন্নয়নের দোহাই দিয়ে ঠেগামুখে স্থল বন্দর স্থাপন, ঠেগামুখ-চট্টগ্রাম বন্দর সংযোগ সড়ক ও সীমান্ত সড়ক নির্মাণ, সেনাবাহিনী কর্তৃক বিলাসবহুল পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন, রিজার্ভ ফরেস্ট ঘোষণা, যত্রতত্র বিজিবির বিওপি স্থাপন, কাচলং-সীতা পাহাড় ভূ-গঠনে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন ইত্যাদি কার্যক্রমের মাধ্যমে জুম্মদেরকে তাদের চিরায়ত ভিটেমাটি থেকে চিরতরে উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র চলছে। রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজসহ তথাকথিত বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম জুম্ম জনগণের বিরোধিতা সত্ত্বেও সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে জোরপূর্বক বাস্তবায়ন করে চলেছে যার মূল লক্ষ্য হলো এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে জুম্ম স্বার্থ পরিপন্থী ও চুক্তি-বিরোধী এক একটি রাজনৈতিক কেন্দ্র স্থাপন করা।
বুকলেটে পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা রাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধানের ক্ষেত্রে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের কোন বিকল্প নেই উল্লেখ করে বলা হয়, দীর্ঘ আড়াই দশক ধরে রক্ত-পিচ্ছিল সংগ্রামের মধ্য দিয়ে পার্বত্যবাসীর অধিকার সনদ এই পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অর্জিত হয়েছে। এই চুক্তিকে বাস্তবায়িত না করার যে কোন ষড়যন্ত্র এবং জুম্ম জনগণের এই চুক্তি বাস্তবায়নের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে ফ্যাসীবাদী কায়দায় দমন-পীড়নের যে কোন চক্রান্ত দেশের বৃহত্তর স্বার্থে কখনোই শুভ ফল বয়ে আনতে পারে না।
জানা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা ভূমি সমাধানের লক্ষে গেল ১ আগস্ট ‘পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০১৬’ এর খসড়া অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। ৬ অক্টোবর জাতীয় সংসদে সংশোধিত বিল আকারে পাস হয়। সংশোধনের পরবর্তীতে এ কমিশনের পক্ষ থেকে গত ৮ সেপ্টেম্বর ভূমি বিরোধ নিয়ে সংক্ষুদ্ধ ব্যক্তিদের কাছ থেকে গণ বিজ্ঞপ্তি ছাড়া কোন কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি। তবে এ কমিশন আইন পাসের এ কমিশন বাতিলের দাবীতে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে পার্বত্য নাগরিক পরিষদসহ ৫ বাঙালী সংগঠন কয়েক দফা হরতালও পালন করে।
পাবর্ত্য চুক্তির ১৯তম বর্ষ উপলক্ষে গেল বুধবার রাজধানী ঢাকায় এক সংবাদ সন্মেলনে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন সংশোধন করা হলেও তার যথাযথ বাস্তবায়নে প্রশাসন কর্তৃক আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। তিনি অভিযোগ করেন, তিন পার্বত্য জেলায় ক্ষমতাসীন দলের নেতৃত্ব চুক্তি স্বার্থবিরোধী ভূমিকার কারণে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ ফিরোজা বেগম চিনু বলেন, পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে আর বাকী রয়েছে বলে মনে করি না। এরপরও তারা যদি বলে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন হয়নি, তাহলে তারা কি বলে তারাই বুঝে।
তিনি আরো বলেন, ঢাকায় সংবাদ সন্মেলনে সন্তু লারমার অভিযোগটি সত্য নয়। পার্বত্য শান্তি চুক্তি সম্পাদনের পর চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষে আওয়াীলীগই আজ পর্ষন্ত মাঠে রয়েছে। বরংশ বলা যায় উনার(সন্তু লারমা) অসহযোগিতার জন্য চুক্তি বাস্তবায়ন অনেকটা বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ দিন আগে থেকে ভূমি কমিশন আইন পাস করা হলেও উনার অসহযোগিতার জন্য ভূমি সমস্যার সমাধান অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। তবুও সরকার অত্যন্ত ধৈর্য্যও সাথে এগিয়ে গিয়ে ভূমি কমিশন আইনের যথাযথ সংশোধনী এনে কাজ শুরু করেছে। আশাকরি মাননীয় নেতার পছন্দনীয় সদস্যদের নিয়ে গঠিত কমিশন কাজ করে যেতে পারবে।
তিনি চুক্তির ১৯তম বর্ষ পূর্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশবাসীরকে পার্বত্য সমস্যাকে দ্রুত সমাধানের জন্য দলমত নির্বিশেষে এগিয়ে আসার জন্য সহযোগিতা কামনা করেছেন।
চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায় বলেন, চুক্তি অনুযায়ী পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইনের সংশোধনী এনে সংসদে পাস করে কমিশনের কার্যক্রম শুরু করা এবং ১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধিকে স্বীকৃতি দেয়া পার্বত্য চুক্তির একটি ভাল লক্ষণ। তবে পার্বত্য চুক্তির মধ্যে অবাস্তবায়িত বিষয়ের মধ্যে সম্পুর্ণ বেসামরিকরণ, পুলিশ জেলা পরিষদের মাধ্যমে আইন-শৃংখলা হস্তান্তরকরণ, অভ্যান্তরীণ পাহাড়ী শরনার্থীদের পুর্ণবাসন করা হয়নি।
পার্বত্য জন সংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সহ তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সজীব চাকমা বলেন,যে মহৎ উদ্দেশ্য এবং সমস্যা সমাধানের জন্য পার্বত্য চুক্তি করা হয়েছে। তা এভাবে ফেলে রেখে যথাযথভাবে বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেওয়া না হয় তাহলে তার ফল কখনো শুভ হবে না।
পার্বত্য চট্টগ্রাম আদিবাসী ফোরামের পার্বত্য অঞ্চল শাখার সাধারন সম্পাদক ইন্টু মনি তালুকদার বলেন, পার্বত্য চুক্তির অন্যতম বিষয়ের মধ্যে এ অঞ্চলের উপজাতীয়দের বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণ করবে কিন্তু সরকার এখনো বাস্তবায়ন করেনি।
প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য, পার্বত্য চট্টগ্রামের দীর্ঘ দুই যুগেরও বেশী সময় ধরে চলা সশস্ত্র সংঘাত অবসানের লক্ষ্যে তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে ১৯৯৭ সালের এই দিনে(২ডিসেম্বর) ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি শর্ত মোতাবেক ১৯৯৮সালের ১০ফের্রুয়ারী থেকে ২৯ মার্চ পর্ষন্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির্য(তৎকালীন সামরিক শাখার শান্তি বাহিনী) প্রায় দুই হাজার সদস্য মোট চার দফায় অস্ত্র জমাদানের মধ্য দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন।
চুক্তির বর্ষ পূর্তিতে রাঙামাটিতে জেলা পরিষদ ও জনসংহতি সমিতির পৃথক পৃথক কর্মসূচিঃ
পার্বত্য চুক্তির ১৯ তম বর্ষপূতি উপলক্ষে আজ শুক্রবার রাঙামাটি জেলা পরিষদের উদ্যোগে বর্নাঢ্য র্যালী,আলোচনা সভা, প্রীতি ফটবল ম্যাচ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার। বিশেষ অতিথি থাকবেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ ফিরোজা বেগম চিনু,রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সানাউল হক, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান, পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান। সভার সভাপতিত্ব করবেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা।
অপরদিক, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির উদোগে শহরের জিমনেসিয়াম মাঠে গণ সমাবেশ আয়োজন করেছে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন রাঙামাটি আসনের নির্বাচিত সাংসদ উষাতন তালুকদার। সভায় সভাপতিত্ব করবেন জনসংহতি সমিতির জেলা শাখার সভাপতি সুবর্ণ চাকমা।এছাড়া নেতৃত্ব স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.