খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার মহামুনি বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দানোৎসব ও তিন দিন ব্যাপী অভিধম্ম পঠ্টান সূত্র পাঠ সোমবার সমাপ্ত হয়েছে।
সিঙিনালা মহামুনি বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চিবর দান অনুষ্ঠানে ধর্মীয় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন, মহালছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কান্তি চাকমা, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুইথি কার্বারী, সিন্দুকছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান সুইনুপ্র“ চৌধুরী।
সিঙিনালা গ্রামের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী দায়ক দায়িকাদের উদ্যেগে আয়োজিত মহামুনি বৌদ্ধ বিহারে টানা ৩দিন ব্যাপী অভিধম্ম পঠ্টান সূত্র পাঠের সমাপনী দিনে সোমবার কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠান হাজারো ভক্তের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়।
ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ভিক্ষু সংঘকে চিবর দান ছাড়াও সংঘদান, পঞ্চশীল গ্রহন, বুদ্ধ মূর্তি দান, হাজার বাতি দান, ধর্মীয় দেশনা ও আগত ভিক্ষু সংঘের উদ্দেশ্যে সকল জীবের কল্যাণার্থে সমবেত প্রার্থনা করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী বলেন, জাতিগত ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে হিংসা, দ্বেষ, রেষারেষী, হানাহানি, মারামারি অর্থাৎ সংঘাতময় অবস্থান ত্যাগ করে ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে সৌহার্দ্যপূর্ণ মনোভাব তৈরি করুন। বৌদ্ধ ধর্মে প্রত্যেকটি শীল গৃহীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার সংঘাত চায় না, শান্তিতে বিশ্বাসী। শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় থাকলে সরকারের উন্নয়নে কেউ বাঁধা সৃষ্টি করতে পারবেনা।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.