গত ২৩ ভেম্বর জাতীয় সংসদের তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের(সংশোধন) বিল পাসের পর পাহাড়ের সবচেয়ে ক্ষমতাধর প্রতিষ্ঠান পার্বত্য জেলা পরিষদে কে চেয়ারম্যান ও সদস্য মনোনীত হচ্ছেন তা নিয়ে চলছে নানান জল্পনা-কল্পনা। ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে প্রত্যাশীদের জোর লবিং ও তব্দির। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, রোববার সংসদে বিল তিনটি পাসের পর রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষরের পর তা গেজেট আকারে প্রকাশ হবে। এর পর যে কোন মহুর্তে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের ১ জন চেয়ারম্যান ও ১৪ সদস্যর নামে ফ্যাক্স বার্তা পাঠানো হবে স্ব-স্ব জেলা পরিষদে। সেই ফ্যাক্স বার্তাই বলে দেবে কে হবেন চেয়ারম্যান ও সদস্য। ইতোমধ্যে চেয়ারম্যান এবং সদস্য পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী আওয়ামীলীগ নেতারা জোর লবিং ও তদ্বির শুরু করেছেন। তাদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদে দৌঁড়ে সবচেয়ে বেশী এগিয়ে রয়েছেন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা। এর পরবর্তিতে পরিষদের বর্তমান সদস্য অংশি প্রু চৌধুরী, সন্তোষ চাকমা, কেরল চাকমা, চিংকিউ রোয়াজা, অংশু সাইন চৌধুরী, বৃষকেতু চাকমা । পাহাড়ী সম্প্রদায় থেকে সদস্য পদে, বর্তমান পরিষদ সদস্য অভিলাস তংচংগ্যা, অভয় প্রকাশ চাকমা স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরা, মিন্টু মারমা, আশীষ কুমার নব, সদানন্দ চাকমা, জয়সেন তংচংগ্যা, মৃনাল তংচংগ্যা, অংছা প্রু মারমা, সুনীল কান্তি তংচংগ্যা, মনোজ বাহাদুর, উষাং মারমা,লাল এন লিয়ানা পাংখোয়া ও নারী সদস্যর মধ্যে আওয়ালীগ নেতা অনিল চন্দ্র তংচংগ্যার সহধর্মীনি সবিতা চাকমা, লংবতি ত্রিপুরা। বাঙালী সম্প্রদায় থেকে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বর, হাজী কামাল উদ্দীন, আব্দুল মতিন, জাকির হোসেন চৌধুরী, রফিক আহমেদ তালুকদার, জহিদুল ইসলাম, মুজিবুর রহমান মুজিব, আব্দুর রহিম, মজিজুল হক, কেএম জমির উদ্দীন বাবুল। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে সাংবাদিক সুনীল কান্তি দে, সাবেক প্রধান বাদল চন্দ্র দে, বিজয় রতন দে ও অমর দে। নারী সদস্য থেকে পৌর কমিশনার জেবুন্নেসা রহিম, রোকসানা আক্তার, জয়তুন নুর, কৃঞ্চা দেব। তবে চেয়ারম্যান ও সদস্য পদে মনোনয়ন পেতে হলে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার ও তিন পার্বত্য জেলার সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ ফিরোজা বেগম চিনুর সমর্থন ও আর্শীবাদ ছাড়া মনোনয়ন পাওয়া সম্ভব নয় বলে গুঞ্জন রয়েছে। খাগড়াছড়িতে পাবর্ত্য জেলা পরিষদে সম্ভাব্য মনোনীত তালিকায় প্রথম সারিতে রয়েছেন বর্তমান পরিষদ চেয়ারম্যান চাই থো অং মারমা। এর পরে রয়েছেন রণবিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, সাবেক অধ্যক্ষ সমীর দত্ত চাকমা। সদস্য পদে মধ্যে যাদের নাম শুনা যাচ্ছে পাহাড়ী থেকে মংক্যই চিং চৌধুরী, রেম্রাচাই চৌধুরী, খোকনেশ্বর ত্রিপুরা, খোগেশ্বর ত্রিপুরা, যতন ত্রিপুরা, নরেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, অ্যাডভোকেট আশুতোষ চাকমা, শিক্ষক নিলোৎপল খীসা, জুয়েল চাকমা এবং নারী সদস্যর মধ্যে বাশরী মারমা,শতরুপা চাকমা, বাসন্তি চাকমা। বাঙালী সদস্যদের মধ্যে আওয়ামীলীগ নেতা জাহেদুল আলম, মোঃ কাশেম, হাজী দিদারুল আলম দিদার,নির্মলন্দু চৌধুরী, আব্দুর জব্বার, শামসুল হক, এবং নারী সদস্য মধ্যে শাহীন আক্তারের নাম শুনা যাচ্ছে। বান্দরবনে জেলা পরিষদে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদে দৌঁড়ে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা। এর পরের অবস্থানে রয়েছেন মংক্যচিং চৌধুরী, হ্লাথুরি মার্মা। পাহাড়ী থেকে বর্তমান পরিষদ সদস্য ক্যসাপ্রু,কাঞ্চন জয় তংচংগ্যা, অংপ্রু ম্রো,এনি মার্মা, রাংলাই ম্রো,ফিলিপ ত্রিপুরা, সত্যহা পাঞ্জি ত্রিপুরা, জুয়েল বম, চচিং মাষ্টার চাক, অজিত তংচংগ্যা, লেলুং খুমী। সদস্য পদে বাঙালী থেকে বর্তমান পরিষদ সদস্য কাজী মুজিবর রহমান, শফিউল উল্লাহ, রহিম চৌধুরী, মো: ইসমাইল, ইসলাম বেবী, লক্ষী পদ দাশ ও নারী সদস্য থেকে খুরশিদা ইসহাক। তবে এ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য পদে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং-এর যারা আস্থাভাজন তারাই মনোনীত হবেন বলে এমনটাই গুঞ্জন উঠেছে। উল্লেখ্য, আর্ন্তবর্তীকালীন তিনটি পার্বত্য জেলা পরিষদ বিল সংশোধনের লক্ষে গত ১ জুলাই জাতীয় সংসদে উত্থাপন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। গত রোববার ১জন চেয়ারম্যান ও ১৪ জন সদস্য করে আর্ন্তবর্তীকালীন পরিষদ গঠনে বিধান রেখে তিনটি বিল সংশোধিত আকারে জাতীয় সংসদে পাস হয়। বিলগুলো হল রাঙামাটি আর্ন্তবতীকালীন পার্বত্য জেলা পষিদ(সংশোধন) বিল-২০১৪, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ(সংশোধন) বিল-২০১৪ ও বান্দরবান আর্ন্তবতীকালীন পার্বত্য জেলা পরিষদ(সংশোধন) বিল-২০১৪।
–হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.