দেশ ও বিশ্বের মানবজাতির সুখ শান্তি ও মঙ্গল কামনা করে রাঙামাটির রাজবন বিহারের দুদিন ব্যাপী দানোত্তম কঠিন চীবর দান উৎসব শুক্রবার সমাপ্ত হয়েছে।
রাঙামাটির রাজ বন বিহারের নতুন মাঠ প্রাঙ্গনে আয়োজিত ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহনকারী পূর্নার্থীদের উদ্দেশ্য ধর্ম দেশনা দেন বিহারের প্রধান শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির।
অনুষ্ঠানে বক্তব্যে রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়র সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান তরুন কান্তি ঘোষ,রাঙামাটি চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায়।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাঠানো শুভেচ্ছা বাণী পড়ে শুনান রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা এবং বিএনপির চেয়ার পার্সন খালেদা জিয়ার পাঠানো শুভেচ্ছা বাণী পড়ে শুনান বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক দীপেন দেওয়ান।
স্বাগত বক্তব্যে রাখেন রাজ বন বিহার পরিচালনা কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি গৌতম দেওয়ান। অনুষ্ঠানে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমাসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শুরুর পূর্বে মহাপরিনির্বাণপ্রাপ্ত(মহাপ্রয়ান) আর্যশ্রাবক শ্রীমৎ সাধনানন্দ মহাস্থবির(বনভান্তের) মূর্তি ভক্তরা অনুষ্ঠান নিয়ে আসেন এবং এর পর পর শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবিরের নেতৃত্বে কয়েক শতাধিক ভিক্ষু অনুষ্ঠান মঞ্চে চলে আসেন। এর পর ধর্মীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে এ ধর্মীয় অনুষ্ঠান সূচনা করা হয়।
এ পূর্নানুষ্ঠানে মহাপূর্নবর্তী বিশাখা প্রবর্তিত ২৪ ঘন্টার মধ্যে তৈরীকৃত কঠিন চীবর চাকমা রাজা দেবাশীষ রায় রাজ বন বিহারের প্রধানের উদ্দেশ্য প্রদান করেন। এর আগে পঞ্চলশীল প্রার্থনা, অষ্টপরিস্কার দান, কঠিন চীবর ও কল্পতরু উৎস্বর্গ করা হয়।
অনুষ্ঠান শেষে বনভান্তের (রেকর্ডকৃত) দেশনা বাজানো হয়। এ অনুষ্ঠানে তিন পার্বত্য জেলা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লাখো বৌদ্ধ পূর্নাথী সমবেত হন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.