সকল প্রকার অবিদ্যা, কুসংস্কার ও অপশক্তির থেকে পরিত্রান এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে তথা দেশে শান্তি ও মঙ্গল কামনার মধ্যে দিয়ে শনিবার রাঙামাটির জুরাছড়ির সুবলং শাখা বন বিহারে দুই দিনব্যাপনী অনুষ্ঠিত ২৪তম কঠিন চীবর দানোৎসব উৎসব সম্পন্ন হয়েছে।
জুরাছড়ি সুবলং শাখা বন বিহারে প্রাঙ্গনে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ধর্ম দেশনা দেন রাঙামাটি রাজবন বিহারের আবাসিক ভিক্ষু সংঘের প্রধান শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির, জ্যেষ্ঠ বৌদ্ধ সাধক জ্ঞান প্রিয় মহাস্থবীর। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জুরাছড়ি জোন অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল কেএম ওবায়েদুল হক। বক্তব্য দেন জুরাছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উদয় জয় চাকমা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রর্বতক চাকমা ।
এ সময় উপস্থি ছিলেন যক্ষা বাজার ক্যাম্প অধিনায়ক মেজর মরশেদ, জুরাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ক্যানন চাকমা, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রূপ কুমার চকমা প্রমূখ। অনুষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক নিত্যা নন্দ চাকমার ধারা চঞ্চলনায় ভিক্ষু সংঘের সমূখে বিশেষ প্রর্থনা করেন, সুবলং শাখা বন বিহারের সভাপতি ধল কুমার চাকমা।
এর আগে আড়াইটায় জোন অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল কেএম ওবায়েদুল হক ও বিহারের সভাপতি ধল কুমার চাকমা ২৪ ঘন্টার মধ্যে তৈরী দুইটি চীবর (বৌদ্ধ সাধকদের পড়ার কাপড়) হাজার হাজার নারী-পুরুষের সাধুবাদ ধ্বনির মধ্য দিয়ে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের দান করেন। পরে তা সকল প্রাণীর সুখ ও মঙ্গল কামনায় উৎসর্গ করা হয়।
অনুষ্ঠানে চীবর দানের পাশাপাশি ধর্মীয় রীতিতে পঞ্চশীল গ্রহন, বুদ্ধ মর্তি দান, হাজার প্রদীপ দান, অষ্টপরিস্কার দানসহ নানাবিধ দান কার্য্য সম্পাদন করা হয়। এরপর শতাধিক ভিক্ষু একযোগে ধর্মীয় প্রার্থনা দেন। অনুষ্ঠানে হাজার হাজার নর-নারী শরীক হন। বিকালে হাজার বাতি প্রজ্জালন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জুরাছড়ি জোন অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল কেএম ওবায়েদুল হক বলেন, সকল প্রকার অপশক্তি প্রতিরোধে একযোগে কাজ করতে হবে। শান্তি, সম্প্রীতি বজায় রাখতে সেনা বাহিনীর সকল সদস্য সব রকম সহযোগীতা প্রদান করবে।
রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা বলেন,ধর্ম যার যার উৎসব সবার। মমত্ববোধ থেকে করুণা সৃষ্টি। সকল প্রাণীর প্রতি করুণার উদ্রেগ সৃষ্টি হলেই শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। হিংসা হানাহানি লোপ পাবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.