ভারী বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদসীমার পৌঁছে গেছে। বাঁধ রক্ষায় মঙ্গলবার দুপুর থেকে স্পীলওয়ের ১৬টি গেইট দিয়ে একফুট পানি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ১৮ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে পড়ছে।
জানা যায়, ভারী বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বাঘাইছড়ি, রাঙামাটি সদর উপজেলাসহ কয়েকটি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ফলে অনেক স্থানে লোকজন পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন।
এদিকে,কাপ্তাই বাধের স্পীলওয়ে ছাড়ার কারণে নিম্নাঞ্চলের ফসলি জমি বাড়ী ঘর ও বিস্তীর্ন এলাকা প্ল¬াবিত সহ ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতির আশংকা করছেন এলাকাবাসী। গত কয়েকদিন থেকে ভারতে ভারী বষর্নের কারণে পাহাড়ী ঢল ও উজান ধেয়ে আসা পানির কারণে হ্রদে পানির চাপ বৃদ্ধি পায়। ৫টি ইউনিটে দিন-রাত বিদ্যুৎ উৎপাদন করে অতিরিক্ত পানি ছাড়ার পর ও হ্রদে পানির চাপ কমানো সম্ভব হচ্ছেনা। ফলে কতৃপক্ষ স্পীলওয়ে খুলে দিতে বাধ্য হয়। পানি ছাড়ার কারণে চট্টগ্রামের ৫টি উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ নতুুন করে প্লাবনের আতংকে রয়েছে।
নিম্নাঞ্চলের রাঙ্গুনিয়া, রাউজান, হাটহাজারী, বোয়ালখালী ও ফটিকছড়ি সহ চট্টগ্রাম সাগরের মুখ পর্যন্ত কর্ণফুলী নদীর দু’দিকে প্ল¬াবিত হয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সহ বাড়ীঘর ডুবে গিয়ে বন্যার সৃষ্টি হওয়ার আশংকা করছেন এলাকাবাসী। ফলে এ অঞ্চলের মানুষ এখন আতংকে রয়েছেন।
কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মোঃ আবদুর রহমান জানান, হ্রদের রুলকার্ভ অনুযায়ী স্বাভাবিক নিয়মে ১০৬.৩ এমএসএল (মীন সী লেভেল ) পানি থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে পানি আছে ১০৮.৮ এমএসএল। হ্রদে পানি ধারন ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল। এ উচ্চতা অতিক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিলে বাঁধ রক্ষায় অতিরিক্ত পানি স্পিলওয়ে দিয়ে ছেড়ে দিতে হয়। তিনি আরো জানান, পাহাড়ী ঢলও উজান থেকে পানি ধেয়ে আসছে।
তিনি আরো জানান, পানির চাপ কমাতে দিনরাত কেন্দ্রের ৫ টি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন ইউনিট চালু রেখে সর্বোচ্চ ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে প্রতিদিন। বিদ্যুৎ উৎপাদনের কারনে অতিরিক্ত পানি বের হয়ে গেলেও উজান থেকে আসা পানির চাপ কমানো সম্ভব হচ্ছেনা। ফলে স্পীলওয়ে দিয়ে অতিরিক্ত পানি ছাড়া হয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.