পুলিশের মহাপরিদর্শক(আইজিপি) একেএম শহীদুল হক বলেছেন, পুলিশসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর তৎপরতার কারণে দেশে জঙ্গীবাদকে দাবিয়ে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন,দেশে জঙ্গী আছে, অভিষানে অনেকে গ্রেফতার হয়েছে ও পুলিশের ক্রশফায়ারে অনেকে মারা গেছে। তবে পুলিশসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর তৎপরতার কারণে দেশে জঙ্গীবাদ অনেকটা কমে এসেছে।
দেশে জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সকল ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষ সকল শ্রেনীর লোকজনকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরো বলেন,আইন-শৃংখলা বাহিনী ও জনগণের চেষ্টাকে সন্মিলন ঘটিয়ে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা যায় তাহলে এ দেশ থেকে জঙ্গীবাদ নির্মূল করা সম্ভব।
শুক্রবার রাঙামাটিতে পুলিশ অফিসার্স মেস ভবন উদ্ধোধনকালে পুলিশের মহাপরিদর্শক এসব কথা বলেন।
উদ্ধোধনীর এসময় পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোঃ সামসুল আরেফিন ও পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান,খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মজিদ আলী,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(অপরাধ) শহীদ উল্লাহ,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিনুর রহমান খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) চিত্তরঞ্জন পাল, রাঙামাটি কতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ রশীদসহ পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম থেকে রাঙামাটির পুলিশ অফিসার্স ভবনে পৌঁছলে পুলিশের একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অফ অনার করেন। পরে তিনি ফিতা কেটে রাঙামাটির পুলিশ অফিসার্স ভবন উদ্ধোধন করেন। উদ্ধোধনের পর তিনি ভবনের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন।
উল্লেখ্য, রাঙামাটি শহরের পৌরসভার কার্যালয়ের পাশে অবস্থিত প্রায় দুই কোটি টাকারও অধিক ব্যয়ে গণপূর্ত বিভাগের সহায়তায় এ পুলিশ অফিসার্স মেস ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।
এদিকে, রাঙামাটিতে সফরের অংশ হিসেবে পুলিশের মহাপরিদর্শক শুক্রবার বিকালে দিকে শহরের সুখী নীলগঞ্জের পুলিশ লাইনে পুলিশ কর্মকর্তাদের বৈঠক করেন। এছাড়া সন্ধ্যায় তিনি রাঙামাটি সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউ মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে কমিউনিটি পুলিশিং সভায় যোগদান করেন।
পুলিশের মহাপরিদর্শক সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন,পার্বত্যাঞ্চলের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পুলিশ মাঝে মধ্যে অভিযান চালায়। পার্বত্যাঞ্চলে যেহেতু সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য বাহিনী রয়েছে সকলের সন্মিলিত অভিযানে আমরা অনেক সফল হয়েছি। তবে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকাটি একটি বিশেষ ভৌগলিক এলাকা এখানে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করা কঠিন। তারপরও সেনা বাহিনীর নেতৃত্বে পুলিশ এ অভিযান অব্যাহত রেখেছে এবং অনেক অস্ত্র উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি।
এসময় আইজিপিকে এসপি বাবুল আক্তারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন জবাব না দিয়ে এড়িয়ে যান।
তিনি রাঙামাটিতে পুলিশ বিভাগকে দুতিন মাসের মধ্যে গাড়ী দেওয়াসহ এ জেলায় পুলিশের কি কি লজিস্টিক সাপোর্ট লাগবে তা পুলিশ সুপার তালিকা দেওয়ার পর ওই লজিস্টিক সাপোট প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.