রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলায় কৃষক-কৃষানীদের ফল চাষের আধুনিক কলাকৌশল বিষয়ক শনিবার দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও ফলজ চারা বিতরণ করা হয়েছে।
রাঙামাটি কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় নানিয়ারচর উপজেলা হর্টিকালচার সেন্টারে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ কর্মশাৃলায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ত্রিদীপ কান্তি দাশ। নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রনবিকাশ চাকমার সভাপতিত্বে বিশেষ অথিতি ছিলেন রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রমনী কান্তি চাকমা, সমাজ উন্নয়নকর্মী দুর্বাশা মনি চাকমা। এসময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, হর্টিকালচার কর্মকর্তা ও স্থানীয় জন প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মিশ্র ফল বাগান স্থাপন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার চার ইউনিয়নের উপকারভোগী ৬৮জন কৃষক-কৃষানী প্রত্যাককে ২০টি আম, ২০টি লিচু চারা এবং নগদ ৫শত টাকা হারে ভাতা প্রদান করেন অতিথিরা।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল ভিত্তি। বর্তমান সরকারের গৃহীত পরিবেশবান্ধব কৃষি উন্নয়ন কার্যক্রমের ধারাবাহিক সাফল্য দেশ আজ দানা শস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বক্তরা বলেন, দানা জাতীয় খাদ্য উৎপাদনের পাশাপাশি আমাদের পতিত জমিগুলোতে ফলের চারা রোপন করতে হবে। অন্যান্য জেলার ন্যায় এ জেলাতেও ফলের চাষ ভালো হয়। এ জেলার ফল বাইরের জেলায় ফরমালিন মুক্ত হিসেবে একটি ব্র্যান্ড হয়ে গেছে। তাই এ জেলার ফলের চাহিদা রয়েছে অনেক। স্বল্প পরিসরে ফল চাষ করে দারিদ্র্য বিমোচন সম্ভব।
কৃষকদের যেসব পতিত জমি রয়েছে সেগুলো ফেলে না রেখে বিভিন্ন ফলের চারা রোপন করে জেলার মানুষের ফলের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি নিজেদের ভাগ্য উন্নয়ন করা সম্ভব বলে বক্তারা মন্তব্য করেন
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.