পার্বত্য অঞ্চলের সর্বপ্রথম পত্রিকা দৈনিক গিরিদর্পণ ও সাপ্তাহিক বনভূমির সম্পাদক এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের ৭২ তম জন্মদিন রোববার পালিত হয়েছে।
রাঙামাটির ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন সুর নিকেতনের আয়োজনে পার্বত্য চট্টগ্রামের সাংবাদিকতা ও সংবাদপত্রের পথিকৃৎ এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের ৭২ তম জন্মদিনে সুর নিকেতনের কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুর নিকেতনের সভাপতি মনোজ বাহাদুর।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ এ,কে, দেওয়ান, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক কর্মী শিশির চাকমা, কবি ও নাট্যকার মৃত্তিকা চাকমা, উন্নয়ন কর্মী রিপন চাকমা, জুম ঈসথেটিকস কাউন্সিলের (জাক) সভাপতি মিহির বরন চাকমা, রাঙামাটি প্রেসক্লাব সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, সাংবাদিক শামসুল আলম, রাঙামাটি প্রতিবন্ধী স্কুল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরুল আবছার, এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজ প্রতিনিধি পুলক চক্রবর্তী, কবি ও সাহিত্যক প্রভা রানী ধর, সাংবাদিক ইয়াসিন রানা সোহেল প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন সুর নিকেতনের সাধারণ সম্পাদক অনামিকা দে। এ সময় দৈনিক সমকালের স্টাফ রিপোর্টার সত্রং চাকমা, সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি নন্দন দেবনাথ, সাধারণ সম্পাদক মিল্টন বাহাদুর, শিশির দাশ, লিটন শীল, সাংবাদিক মোঃ কামাল উদ্দিনসহ অন্যান্য সাংবাদিক নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভা শেষে চারণ সাংবাদিক এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ কেক কাটেন। এর সুর নিকেতনের শিল্পীরা মনোজ্ঞ সংগীত পরিবেশন করেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন,চারণ সাংবাদিক ও দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ পার্বত্য এলাকার বিভিন্ন প্রতিকুলতার মাঝেও সংবাদপত্র জগতে যে অবদান রেখেছেন তা অনস্বীকার্য ও প্রশংসনীয়। পার্বত্য এলাকার পাঠকদের জন্য তিনি পত্রিকা প্রকাশ করে এলাকার সামাজিক ও মানুষের কল্যানে কাছ করে চলেছেন।
বক্তারা আরো বলেন, তিনি নিজে যেমন কাজ করে গেছেন তেমনি তাঁর উত্তরসুরিদেরও সে পথে পরিচালিত করছেন। তথ্য যাচাই বাচাই করে সাংবাদিকতার নিয়ম অনুসরন করে তার পত্রিকা তিনি প্রকাশ অব্যহত রেখেছেন। এজন্য তিনি সকলের কাছে অনুকরনীয়।
বক্তারা আগামীতেও যাতে এ ধরনের আয়োজন হয় সে প্রত্যাশা ব্যক্ত করে অতিথিরা দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদকের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
জন্মদিনের অনুভুতি ব্যক্ত করতে গিয়ে দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক এ কে এম মকছুদ আহমেদ পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আজীবন কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে করেন।
তিনি বলেন, মানুষের আর্শীবাদ ও সহযোগিতায় আজো টিকে আসি। সাপ্তাহিক বনভূমি ও দৈনিক গিরিদর্পণ প্রকাশ করে অনেক সংবাদকর্মী সৃষ্টি হয়েছে। তারা আজ পার্বত্য অঞ্চল ছাড়াও ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের নানা প্রান্তে অনেক সাংবাদিক নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এটা অনেক বড় পাওয়া। অন্তত মানুষের কল্যাণে তারা এখন কাজ করছেন।
তিনি বলেন, আমার সাংবাদিকতা শুরু হয় দৈনিক আজাদী পত্রিকার মাধ্যমে। সেই পত্রিকা আমাকে স্বীকৃতিস্বরূপ ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক স্মৃতিপদক প্রদান করেছে। মাদার তেরেসা, শান্তিপদকসহ স্বর্ণপদক দেয়া হয়েছে পার্বত্য অঞ্চলে সংবাদপত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ।
তিনি বলেন, এই স্বীকৃতি আমার নিজের নয়। এটা পুরো পার্বত্য অঞ্চলের শান্তিকামী মানুষের। যাদের শান্তি প্রত্যাশা পুরণের জন্য এখনো নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি। তিনি বলেন, যতদিন প্রয়োজন ততদিন শান্তি জন্য কাজ করে যাবো।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.