এবারের ঈদের ছুটিতে রাঙামাটিতে পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকদের আগমন তেমন একটা আশানুরুপ নয়। সম্প্রতি জঙ্গী হামলা ঘটনা এবং বর্ষা মৌসুম হওয়ায় পর্যটকের কিছুটা ভাটা পড়েছে বলে পর্যটন ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
প্রতি বছর ঈদের ছুটিতে পর্যটকরা ইটপাথুরের শহর ও যান্ত্রিকতার ক্লান্তি দূর করতে প্রতি বছর রাঙামাটির অপরুপ সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে ছুটে আসেন। এবারও পরিবার-পরিজন ও বন্ধু-বান্ধদের নিয়ে ঈদের ছুটি উপভোগ করতে রাঙামাটির বিভিন্ন পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকের আগমন ঘটলেও পর্যটকের সংখ্যা আশানুরুপ নয়। ফলে পর্যটন ব্যবসায় রাজস্ব আয়ের থেকে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, সম্প্রতি জঙ্গী হামলার ঘটনার প্রেক্ষিতে এবার রাঙামাটির পর্যটন স্পটগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। রাঙামাটির বিভিন্ন পর্যটন স্পটগুলোতে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।
শনিবার রাঙামাটি সরকারী পর্যটন স্পটে সরেজমিনে গিয়ে গেছে, রাঙামাটি সরকারী পর্যটন স্পট আকর্ষনীয় ঝুলন্ত সেতুর উপরে ও আশপাশের এলাকায় পর্যটকরা পরিবারের পরিজন ও বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করছেন। আবার অনেক পর্যটক ইঞ্জিন চালিত বোটে করে কাপ্তাই হ্রদের নৌ-ভ্রমন এবং শুভলং ঝর্ণার সৌন্দর্য্য দেখতে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, রাঙামাটিতে পর্যটনের আকর্যনীয় স্পটের মধ্যে রয়েছে,পর্যটনের ঝুলন্ত সেতু,রাজ বন বিহার,জেলা প্রশাসনের বাংলো, বীর শ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের সমাধি সৌধ, বালুখালী কৃষি খামার, টুক টুক ইকোভিলেজ,সাংপাং রেস্টুরেন্ট এবং আদিবাসী শান্ত সবুজ গ্রাম ও তাদের জীবনযাত্রা।
রাঙামাটি কতোয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক লিমন বোস জানান, ঈদের ছূটিতে রাঙামাটিতে প্রচুর পর্যটক এসেছেন। রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সে একটি নির্দিষ্ট পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে তারা সেখানে নিয়মিত নিরাপত্তার ব্যবস্থা তদারকি করছেন। তাছাড়া ঈদ উপলক্ষে পুলিশের অতিরিক্ত টহল জোরদার করা হয়েছে।
রাঙামাটি আবাসিক হোটেল ব্যবসায়ি সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন ও যুগ্ন সম্পাদক নেছার আহম্মদ জানান,সম্প্রতি দেশে জঙ্গি হামলার প্রভাবে মানুষ ঘর থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছেন। যার কারনে এ প্রভাবও রাঙামাটি পর্যটনের উপর পড়েছে।
রাঙামাটি সরকারী পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্স-এর ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা জানান রাঙামাটি প্রতি বছরের ন্যায় এবার ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাঙামাটিতে প্রচুর পর্যটক আসার কথা ছিল। ঈদের অনেক আগে থেকেই প্রচুর পর্যটক অগ্রিম রুম বুকিং দিয়েছিলেন। কিন্তু ঢাকায় জঙ্গি হামলার ঘটনায় অগ্রিম বুকিং বাতিল করেন কিছু পর্যটক। কিছু স্থানীয় লোকজন ছাড়া রাঙামাটিতে বাইরের তেমন কোনো পর্যটকের আগমন ঘটেনি এবার ঈদে।
তিনি আরো জানান, বর্তমানে রাঙামাটি পর্যটন মোটেল ও হলিডে কমপ্লেক্সে দুটি মোটেল, ছয়টি কটেজ ও একটি ঝুলন্ত সেতু আছে। এছাড়া নৌ ভ্রমণের জন্য রয়েছে বোটিং ব্যবস্থা। বিনোদনের জন্য আরও পর্যাপ্ত সুবিধা সম্প্রসারণ প্রয়োজন। তবে পর্যটকদের চাহিদা অনুযায়ী স্থানীয় পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে।
এছাড়া সড়ক পথে পর্যটকরা কোথাও বেড়াতে যেতে চাইলে তাৎক্ষণিক গাড়ির ব্যবস্থাও রয়েছে। মোটেলে রয়েছে থাকা-খাওয়ার সব ব্যবস্থা। রয়েছে একটি বার। নিরাপত্তার জন্যও কোনো সমস্যা নেই। পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে একটি স্থায়ী পুলিশ ফাঁড়িসহ সার্বক্ষণিক পুলিশি টহল জোরদার থাকে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.